শ্রীনগরের লাল চকে সেনার কড়া তল্লাশি অভিযানের কারণে মঙ্গলবার প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল জনজীবন। ফাইল চিত্র।
শ্রীনগরের লাল চকে সেনার কড়া তল্লাশি অভিযানের কারণে মঙ্গলবার প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল জনজীবন। আতঙ্কের রেশ ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে। অন্য দিকে, গোয়েন্দাদের পরামর্শে এ দিন জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা প্রতিনিধিদের কাশ্মীর ঘুরিয়ে দেখানোর পরিকল্পনায় শেষ মুহূর্তে বেশ কিছু বদল আনা হয় প্রশাসনের তরফে। যা নিয়েও মাথাচাড়া দিয়েছে নানা জল্পনা।
মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনএসজি এবং সিআরপি-র কমান্ডোরা ঘিরে ফেলে গোটা লাল চক এলাকা। সেখানে ঢোকার এবং সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা আটকে দেয় বাহিনী। তার পরেই শুরু হয় তল্লাশি। সেই তল্লাশি চালানো হয় লাল চক বাজারের প্রায় প্রত্যেকটি দোকানেও। খতিয়ে দেখা হয় দোকান মালিকদের পরিচয়পত্র।
প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় দোকান খোলার জন্য দোকান মালিকদের আলাদা করে বিশেষ একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে সেনার তরফে। একমাত্র তা দেখিয়েই ভিতরে প্রবেশের অনুমতি মিলছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ লাল চক এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২৬ মে খুলতে পারে সেগুলির দরজা।
জি২০ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে শ্রীনগরের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের অন্যান্য জায়গাতেও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যান চলাচল। পাশাপাশি, অনন্তনাগ, শোপিয়ান, কুলগাম, পুলওয়ামা, কুপওয়ারা, বারামুলা, বান্দিপোরা, ও বদগামেও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নজরদারি।
জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেই বদল আনা হয়েছে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা প্রতিনিধিদের কাশ্মীর ঘুরিয়ে দেখানোর পরিকল্পনায়। সেই তালিকায় আগে শ্রীনগরের দাচিগাম জাতীয় উদ্যান এবং উত্তর কাশ্মীরের গুলমার্গ থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। এরই সঙ্গে জোর দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy