Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Nutritious Food

ভারতের গ্রামে ৭৫ শতাংশের পুষ্টিকর খাবার জোটে না, দাবি গবেষণাপত্রে

তাঁর ছ’বছরের শাসনে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তথ্য-পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, গত ছ’বছরে এই ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই পিছিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৫৪
Share: Save:

বার্ষিক বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশেরও পিছনে চলে যাওয়া নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মধ্যেই সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকায় দেখা গেল ‘মহাশত্রু’ চিন তো দূর, ‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানেরও পিছনে নরেন্দ্র মোদীর ভারত। এমনকি শ্রীলক্ষা, নেপালেরও পিছনে দেশ। এ বারে সামনে এল আরও একটি ভয়ঙ্কর তথ্য। ‘ফুড পলিসি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের প্রতি চার জনের মধ্যে তিন জনেরই পুষ্টিকর খাবার জোটে না।

ভয়াবহ অপুষ্টিই তাঁদের যাবতীয় রোগের কারণ। শুধু তা-ই নয়, গবেষণাপত্রটির তথ্য অনুযায়ী, গ্রাম ভারতের মানুষ যদি তাঁদের আয়ের পুরোটাই খাবারের জন্য খরচ করেন, তা হলেও প্রতি তিন জনের মধ্যে দু’জন সবচেয়ে সস্তার পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারেন না।

তাঁর ছ’বছরের শাসনে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তথ্য-পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, গত ছ’বছরে এই ক্ষেত্রে ভারত ক্রমশই পিছিয়েছে। দেশের গ্রামীণ জনসংখ্যা পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষাগুলি তৈরি করা হয় যে সব মানদণ্ডের ভিত্তিতে, ‘ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর (আইএফপিআরআই)এই গবেষণা তার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে আরও বেশি মানুষকে সমীক্ষার আওতায় এনেছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নিলেন হর্ষ বর্ধন​

আরও পড়ুন: দেশে সংক্রমণ শিখর পেরিয়েছে, দাবি রিপোর্টে

গবেষণায় শিল্পশ্রমিকদের পাশাপাশি অদক্ষ কর্মী, শ্রমিকদের গড় দৈনিক বা মাসিক আয়ের মানদণ্ডটিও ব্যবহার করা হয়েছে। পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে ধরা হয়েছে ডেয়ারিজাত দ্রব্য, ফল, টাটকা আনাজ ও শাকসব্জিকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rural India Nutritious Food Hunger Index
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE