প্রতীকী ছবি।
ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও গৃহবধূকে বাঁচাতে আসেননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। উল্টে নিজেদের বেকসুর প্রমাণে বন্ধ দরজার পাশের জানলা দিয়ে সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলছিলেন তাঁরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের বছর পঁচিশের এক গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি এবং তাঁর দেওরের বিরুদ্ধে। ওই যুবতীর আত্মহত্যার পর তাঁর মা-বাবার অভিযোগ, পণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার করছিল শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। এই ঘটনায় সোমবার শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করলেও পলাতক যুবতীর স্বামী ও তাঁর ভাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা কোমল তাঁর স্বামী আশিস, আশিসের ভাই এবং শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতেন। এই ঘটনার পর কোমলের বাবা অনিল কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে আশিস এবং তাঁর ভাই সচিনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কোমলের আত্মহত্যা করার ঘটনাটি পুরোটাই ক্যামেরাবন্দি করেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযোগ, নিজেদের বাঁচাতেই নেটমাধ্যমে ওই ভিডিয়ো আপলোড করেন তাঁরা। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আত্মহত্যার করার আগে একটি নীলরঙের ও়়ড়নায় গিঁট বাঁধছেন কোমল। এর পর তা শক্তপোক্ত হয়েছে কি না, সেটাও পরীক্ষা করে দেখছেন। তার পর ওই ফাঁসে ঝুলে পড়ছেন। ভিডিয়োতে এক পুরুষকণ্ঠকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘নিজে নিজেই ঝুলে পড়ছে।’’
মুজফ্ফরনগরের পুলিশ সুপার অর্পিত বিজয়বর্গীয়ের দাবি, আত্মহত্যার সময় কোমলকে নিরস্ত করতে চেয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তবে অনিলের অভিযোগ, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কোমলের সঙ্গে আশিসের বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়ের উপর পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার চলত। তিনি বলেন,‘‘বিয়ের সময় ৫ লাখ টাকা এবং আশিসকে একটা মোটরবাইক দিয়েছিলাম। তবে তাতেও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সন্তুষ্ট নন। মাস ছয়েক আগে কোমলকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেন তাঁরা। পরে গ্রামের লোকজন কোমলকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেন। মাস দুয়েক আগে আরও ১.২ লাখ টাকার দাবি করেন তাঁরা।’’ ওই টাকা না দিলে আশিসের অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে বলেও তাঁরা হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ অনিলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy