খাবারের আসরে চিকিৎসকেরা। এই আসর নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবি: সংগৃহীত।
শিশু চিকিৎসকদের সম্মেলন বসেছিল বিহারে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে সেখানে যোগ দিয়েছিলেন খ্যাতনামী চিকিৎসকেরা। দু’দিনের সম্মেলন। তার ফাঁকে ছিল চিকিৎসকদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও। সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অতিথিশালায় বসা চিকিৎসকদের সেই মনোরঞ্জনের আসর নিয়েই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। অভিযোগ, বিহারে মদ্যপান নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সরকারের নাকের ডগায় চিকিৎসকদের জন্য বসানো হয়েছে মদের আসর। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি নীতীশের বিহারে গরিব আর বড়লোকদের নিয়ম আলাদা?
ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে তাতে দেখা যাচ্ছে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অতিথিশালায় টেবিলে রঙিন জলের গ্লাস এবং খাবার সাজিয়ে বসেছেন চিকিৎসকেরা। পাপ্পু যাদব নামের এক রাজনৈতিক দলের নেতা ভিডিয়োটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘দ্বারভাঙা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য ‘শরাব, শবাব এবং কবাবের ব্যবস্থা’ অর্থাৎ মদ-মাংস এবং নারীসঙ্গের বন্দোবস্ত। চিকিৎসকেরা হুল্লোড় করছেন আর সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। আর কত দিন এ সব চলবে?’’
পাপ্পু বিহারের জন অধিকার পার্টির প্রধান। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। পাপ্পু সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই দৃশ্য তিনি নিজেও দেখেছেন। কারণ জেল থেকে চিকিৎসার জন্য তাঁকে সেই সময় ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর চিকিৎসকদের মনোরঞ্জনের জন্য ওই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, উত্তর বিহারের দ্বারভাঙা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের লাগোয়া অতিথিশালায়। সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন ১২-১৪ জন শিশু চিকিৎসকও। পার্টিতে উপস্থিত কোনও এক ব্যক্তিই পার্টির ভিতরের একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। পরে পার্টির ছবি পোস্ট করে সরকারের মদ্যপান বিরোধী নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পাপ্পুও। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তবে সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy