Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Charanjit Singh Channi

বেআইনি খনন: চন্নীর ভাইপোর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডি-র

আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধী আইন সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের বিচারক রুপিন্দরজিৎ চহালের এজলাসে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি।

চরণজিৎ সিংহ চন্নী।

চরণজিৎ সিংহ চন্নী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
জালন্ধর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ ০৫:২৮
Share: Save:

অবৈধ বালি খননের মামলায় গত ৩১ মার্চ চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চার্জশিটে নাম রয়েছে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীর ভাইপো ভূপিন্দর সিংহ ওরফে হানির।

আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধী আইন সংক্রান্ত বিশেষ আদালতের বিচারক রুপিন্দরজিৎ চহালের এজলাসে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। আগামী ৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানি।

আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধী আইন-সহ একাধিক ধারায় চন্নীর ভাইপোর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। হানির পাশাপাশি চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁর শাগরেদ কুদ্রপ্রতাপ সিংহেরও।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হানিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ৬০ দিনের মধ্যে হানির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে হত ইডি-কে। সেই নিয়ম মেনেই নির্ধারিত সময়ের আগে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। ১৮ ডিসেম্বর পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগের দিন হানি ও তাঁর শাগরেদদের ১০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি।

১০ কোটিরও বেশি নগদ অর্থের পাশাপাশি ২১ লক্ষ টাকার সোনা এবং ১২ লক্ষ টাকার দামি ঘড়ি হানি ও তাঁর শাগরেদদের একাধিক ভবন থেকে বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। মোহালি, লুধিয়ানা, রুপনগর, ফতেগড় সাহিব এবং পঠানকোটের নানা জায়গায় সেই সময়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। কুদ্রপ্রতাপ সিংহের পাশাপাশি তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার কানওয়ারমাহিপ সিংহ, মনপ্রীত সিংহ, সুনীল কুমার জোশী, জগবীর ইন্দর সিংহের আবাসেও ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। তল্লাশি অভিযান চলে ব্যবসায়ী রণদীপ সিংহ, ভূপিন্দর সিংহ, সন্দীপ কুমারের বাড়িতেও।

২০১৮ সালের মার্চে শহিদ ভগৎ সিংহ নগর থানায় বেআইনি খনন সম্পর্কিত অভিযোগের ভিত্তিতেই এফআইআর হয়েছিল। সেই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতেই ইডি তদন্ত শুরু করে। সেই সময়ে হানির ব্যবসার অংশীদার কুদ্রপ্রতাপ ও আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। কুদ্রপ্রতাপকে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই বেআইনি খনন কাণ্ডে হানির নাম সামনে আসে।

অভিযোগ দায়েরের পরেই খনি দফতরের আধিকারিক, প্রশাসনিক আধিকারিক এবং পুলিশের যৌথ দল ২০১৮ সালের ৭ মার্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখে। সেই সময়েই বেআইনি খননের বিষয়টি নজরে আসে।

একাধিক ট্রাক, পোর্সেলিন মেশিন, জেসিবি মেশিন বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারী দল। এর পরেই মালিকপুরে খনন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এফআইআর-এ মালিকপুর ছাড়াও বুর্জতাল দাস, বরসাল, লালেওয়াল, মানডালা এবং খোসার খনিরও উল্লেখ করা হয়েছিল।

ইডি জানিয়েছে, অভিযুক্ত সমস্ত খনি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই তদন্ত করা হয়েছে। ইডি-র অনুমান বালি খননের বরাত পেতে কালো টাকা বিনিয়োগ করা হত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy