একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে গর্ভপাতের জন্য ভর্তি করানো হয়েছিল কিশোরীকে। প্রতীকী ছবি।
এক বছর আগেই সাবালক হয়েছেন। এর মধ্যে গর্ভধারণ! ভুল যে হয়েছে, তা বুঝতে পেরেই সম্ভবত আড়ালে ভুল শোধরাতে চেয়েছিলেন ১৯ বছরের কিশোরী। কিন্তু সে কাজ করতে গিয়ে আরও বড় ভুলের শিকার হলেন তিনি। চিকিৎসার ভুলে মৃত্যু হল তাঁর।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার হিসারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, সোমবার রাতে হিসারের আগ্রোহায় মহারাজা আগ্রাসেন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। তার আগে একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে গর্ভপাতের জন্য ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। গর্ভপাত করানোর পর হঠাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয় কিশোরীকে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ১৬ মার্চ সন্ধে ৬টার সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরীকে নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল কলেজে। জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁর। হাসপাতালের অধিকর্তা অলকা ছাবড়া জানিয়েছেন, গর্ভপাতের ভুল চিকিৎসার জন্য সেপটিক শকে চলে গিয়েছিলেন কিশোরী। তাঁর অন্ত্র বেরিয়ে আসছিল শরীর থেকে। জরায়ুটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হাসপাতালে ওই কিশোরীর জরায়ু এবং অন্ত্রে অস্ত্রোপচার করানো হয়। কিন্তু তার পরও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পরে ওই কিশোরীর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ধীরে ধীরে সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গই কাজ করা বন্ধ করে দিতে শুরু করে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ১৯ বছরের ওই কিশোরীকে। সোমবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে ওই কিশোরীর পরিবার। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তারা জানিয়েছে, গত ১৪ মার্চ ওই কিশোরীকে হিসারের একটি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে গর্ভপাতের জন্য ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁর এক আত্মীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy