Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Hathras Stampede Incident

‘ওঁর যদি সত্যিই শক্তি থাকে এসে আমাদের সুস্থ করুন’! হাথরসকাণ্ডে ভোলে বাবার প্রতি ভক্তি বদলাচ্ছে ক্ষোভে

পদপিষ্টের ঘটনার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে এখনও ‘বেপাত্তা’ ভোলে বাবা। তাঁর আশ্রমে গিয়েও তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মৃতের ভিড়ে স্বজনকে শনাক্ত করার চেষ্টা। ছবি: পিটিআই।

মৃতের ভিড়ে স্বজনকে শনাক্ত করার চেষ্টা। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪১
Share: Save:

তাঁর যদি সত্যিই শক্তি থাকে, হাসপাতালে এসে আহতদের সুস্থ করে তুলুন! উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় ধর্মীয় গুরু নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার প্রতি বিশ্বাস আর ভক্তি ক্রমশ ক্ষোভের রূপ নিচ্ছে। ভক্তদের অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, যাঁর প্রতি এত আস্থা, বিশ্বাস, ভরসা তাঁদের, এ রকম একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে তিনি কেন সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন না? তাঁদের কথায়, “বাবার (ভোলে বাবা) যদি সত্যিই শক্তি থাকে, তা হলে আমাদের এসে বাঁচান, সুস্থ করে তুলুন!”

পদপিষ্টের ঘটনার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে এখনও ‘বেপাত্তা’ ভোলে বাবা। তাঁর আশ্রমে গিয়েও তল্লাশি চালানো হয়েছে। যখন তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ, তাঁর বিরুদ্ধে যখন এই ঘটনায় গোটা দায় গিয়ে বর্তাচ্ছে, তখন ভোলে বাবার একটি বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনার ২৯ ঘণ্টা বাদে ভোলে বাবার দাবি, তিনি নির্দোষ। ‘সৎসঙ্গ’ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরই এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাঁর। এই ঘটনার নেপথ্যে অসামাজিক কাজকর্মও রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভোলে বাবা। তবে তাঁর আশ্রমে তল্লাশি চালিয়ে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

কেউ মাকে হারিয়েছেন, কেউ সন্তানকে, কেউ আবার পুরো পরিবারকে। হাসপাতাল আর মর্গ ছুটে বেড়াচ্ছেন পরিজনেরা। কেউ শনাক্ত করতে পেরেছেন, কেউ আবার মৃতদের ভিড়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁদের স্বজনকে। দু’দিন ধরে হাথরসের মুগলাগঢ়ি গ্রামের ছবিটা এ রকম। তার মধ্যেই ধর্মীয় গুরুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে ভক্তদের একাংশের মধ্যে। বুধবারেও সেই ক্ষোভের আঁচ দেখা গিয়েছে হাথরসের বেশ কিছু জায়গায়। হাথরসের বাসিন্দা বিনোদ তাঁর পরিবারের চার সদস্যকে হারিয়েছেন। স্ত্রী, মা এবং কন্যার মৃত্যু হয়েছে পদপিষ্টের ঘটনায়। ভোলে বাবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়িতে লাগানো সেই ধর্মগুরুর ছবি ছিঁড়ে ফেলেছেন। বিনোদের কথায়, “আমি বাড়ির বাইরে ছিলাম। পদপিষ্টের ঘটনা শুনে ছুটে আসি। বাড়িতে ফিরে শুনি মেয়েকে নিয়ে মা এবং স্ত্রী সৎসঙ্গে গিয়েছেন। তার পরই সব শেষ।” বিনোদ একা নন, তাঁর মতোই আরও অনেক ভক্ত ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদেরও এ বার ভোলে বাবার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১ (পিটিআই মৃতদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে)।

অন্য বিষয়গুলি:

Hathras Stampede Incident Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE