মাত্র ২ বছরের মধ্যেই ক্লাইম্যাক্সে এসে পৌঁছল তাঁদের লভ স্টোরি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২০ ১১:৫৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
দিল্লির তরুণী টিনা দাবি এবং কাশ্মীরের আতহার আমির উল শফি খান। ২০১৮ সালে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। সারা দেশে বহুল চর্চিত সেই আইএএস দম্পতির বিয়ে ভাঙতে চলেছে। মাত্র ২ বছরের মধ্যেই ক্লাইম্যাক্সে এসে পৌঁছল তাঁদের লভ স্টোরি।
০২১৫
সম্প্রতি রাজস্থানের জয়পুরের একটি আদালতে তাঁরা পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছেন।
০৩১৫
টিনা এবং আতহারের লভ স্টোরি নিয়ে এক সময় বহুল চর্চা হয়েছিল দেশ জুড়ে। চর্চার দুটো কারণ ছিল।
০৪১৫
প্রথমত, ২০১৫ ব্যাচের এই দুই আইএএস অফিসারই দুর্দান্ত ফল করেছিলেন। ইউপিএসি পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন টিনা। ওই পরীক্ষাতেই দ্বিতীয় হয়েছিলেন আতহার।
০৫১৫
দ্বিতীয় কারণ ছিল, দু’জনেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর মানুষ। দিল্লির তরুণী টিনা ছিলেন দলিত এবং আতহার কাশ্মীরের মুসলিম পরিবারের ছেলে।
০৬১৫
দুই আলাদা ধর্মের মানুষ হওয়ার জন্য আতহার-টিনার সম্পর্কের পথে কাঁটাও কম ছিল না। ফেসবুকে তাঁদের ছবি পোস্ট করতে অভিনন্দনের বন্যা যেমন বয়ে গিয়েছিল, সঙ্গে নিন্দাতেও মুখর হয়েছিলেন অনেকেই।
০৭১৫
দু’জনের প্রথম দেখা নয়াদিল্লিতে। নর্থ ব্লকের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপি)-এর অফিসে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়ার সময়।
০৮১৫
আতহারের তরফে ছিল, লভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট! নর্থ ব্লকের ওই অফিসে টিনার সঙ্গে সকালেই পরিচয় হয়েছিল আতহারের। আর সন্ধে গড়াতে না গড়াতেই টিনাকে প্রেম নিবেদন করেন তিনি।
০৯১৫
তবে প্রথমেই তাতে সাড়া দেননি টিনা। কয়েক মাস আতহারের সঙ্গে মেশার পরই প্রেম প্রস্তাবে সায় দেন তিনি। ২০১৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়।
১০১৫
বিয়ের মাত্র ২ বছরের মধ্যেই তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে ফের এক বার শিরোনামে উঠে এসেছেন এই আইএএস দম্পতি।
১১১৫
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে আবার কুমন্তব্য করতেও ছাড়েননি। অনেকে এটাকে ‘লভ জিহাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন। এমন মন্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন কেউ কেউ। টিনা এবং আতহার অবশ্য এ নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।
১২১৫
২২ বছরের টিনা ২০১৬ সালে প্রথম বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। প্রথম চেষ্টাতেই সাফল্যের পাশাপাশি গোটা দেশের সব পরীক্ষার্থীকে পিছনে ফেলে চমকেও দেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আতহারের অবশ্য প্রথম চেষ্টা ছিল না।
১৩১৫
কিছু দিন আগে করোনা-মোকাবিলায় সারা দেশকে পথ দেখিয়েছিল ‘ভিলওয়াড়া মডেল’।
১৪১৫
রাজস্থানের ভিলওয়াড়াকে সম্পূর্ণ করোনা-মুক্ত করতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেছলেন এঁরা।
১৫১৫
টিনা এবং আতহার এখন রাজস্থানেই কর্মরত। কিন্তু কী কারণে তাঁদের এই সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে দু’জনের কেউই প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।