মিরাজ-২০০০। প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে ফ্রান্স থেকে ২৪টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান কিনতে চলছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তবে নতুন বিমান নয়, প্রত্যেকটি বিমানই ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’! ফরাসী বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
ভারতীয় বায়ুসনার আধুনিতম যুদ্ধবিমান রাফালের মতোই মিরাজ-২০০০-এর নির্মাতা সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন। প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে রাজীব গাঁধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানবহরে যোগ দিয়েছিল মিরাজ। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিশিবিরের হামলাতেও ব্যবহৃত হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন দশকের পুরনো ওই যুদ্ধবিমান।
কিন্তু কেন এমন ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত? বায়ুসেনা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মিরাজ-২০০০ বিমানগুলির ‘পারফরম্যান্স’ যথেষ্ট ভাল। এই পরিস্থিতিতে কিছু সরঞ্জাম বদল এবং আধুনিকীকরণের কাজ হলে স্বচ্ছন্দে আরও কয়েক বছর কাজে লাগবে মিরাজ-২০০০ নিয়ে গঠিত ‘বজ্র স্কোয়াড্রন’।
ফরাসী বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ওই ২৪টি মিরাজের দাম পড়বে মাত্র ২ কোটি ৭০ লক্ষ ইউরো (প্রায় ৩ কোটি ২০ লক্ষ ডলার বা ২৩৫ কোটি টাকা)। অর্থাৎ একটি রাফাল যুদ্ধবিমানের দামের পাঁচ ভাগের এক ভাগেই পুরো ২৪টি মিরাজ হস্তগত হবে ভারতীয় বায়ুসেনার!
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২৪টি বিমানের মধ্যে ৫টি সম্পূর্ণ ভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত (ফ্লাইট কন্ডিশান) রয়েছে। আরও ৮টির সামান্য কিছু সংস্কার প্রয়োজন। বাকি ১১টি আনা হচ্ছে অন্য উদ্দেশ্যে। ওই ১১টি মিরাজের বিভিন্ন অংশ ভারতীয় বায়ুসেনায় কর্মরত প্রায় ৫০টি মিরাজের প্রায় ৩০০ ধরনের যন্ত্রাংশ এবং সরঞ্জামের চাহিদা মেটাবে। কারণ, কয়েক বছর আগেই দাসো কর্তৃপক্ষ মিরাজ-২০০০ বিমানের যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy