শনিবার নিবেদিতাকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে অঙ্কিতের বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত।
খুশিকে মেরে দিয়েছি। ওর কাছেই চললাম। বাই…বাই। তার পরই ফেসবুক লাইভে এসে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর।
১৩ মে। মহিলা হস্টেলের সামনে প্রেমিকা নিবেদিতা ওরফে খুশিকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে অঙ্কিত নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিবেদিতাকে পর পর তিনটি গুলি করেন অঙ্কিত। একটি গুলি ছিটকে লাগে নিবেদিতার বান্ধবীর। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিবেদিতার সঙ্গে অঙ্কিতের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই অঙ্কিতের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখছিলেন না নিবেদিতা। ফোন বা মেসেজের কোনও উত্তর দিচ্ছিলেন না। নিবেদিতা রাঁচীর অরগোড়া থানা এলাকার পটেল চকে একটি হস্টেলে থাকতেন। শনিবার সন্ধ্যায় এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে হস্টেলের কাছেই একটি দোকানে খাবার কিনতে গিয়েছিলেন।
সন্ধ্যা তখন সওয়া ৬টা। খাবার কিনে আবার হস্টেলে ফেরার পথে নিবেদিতার পথ আটকে দাঁড়ান অঙ্কিত। কেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না, তার জবাব চেয়েছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা কোনও উত্তর না দিয়েই হস্টেলের দিকে হাঁটা শুরু করেছিলেন। তখনই তাঁর সামনে এসে বন্দুক বার করে পর পর গুলি চালান অঙ্কিত। একটি গুলি অঙ্কিতার চোখ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। দু’টি গুলি তাঁর বুকে লাগে। আর একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নিবেদিতার বান্ধবীর গায়ে লাগে।
গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। লোকজন দেখে সুযোগ বুঝে বাইক নিয়ে চম্পট দেন অঙ্কিত। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। তার পর পুলিশ এসে নিবেদিতা এবং তাঁর বান্ধবীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা নিবেদিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বান্ধবীর চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনার পরই অঙ্কিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তিনি আত্মগোপন করে ছিলেন। তার পর শনিবারই ফেসবুক লাইভে আসেন। হাতে বন্দুক। যে বন্দুক দিয়ে নিবেদিতাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।
ফেসবুক লাইভে অঙ্কিত বলেন, “আমি খুশিকে মেরে দিয়েছি। আমার লোকেশন পাঠাচ্ছি। আমার ৮৭ নম্বর ফোন চালু আছে। ওই নম্বরে কল করতে পারো। অনুরাধা দিদিকে আমার লোকেশন পাঠিয়ে দিয়েছি। খুশিকে খুন করেছি। ওর কাছে চললাম। বাই…বাই।” তার পরই নিজের মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হন অঙ্কিত। অঙ্কিত আরগোড়া এলাকার যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ি থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, নিবেদিতা বিহারের নওয়াদার বাসিন্দা। রাঁচীতে থেকে পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন। শনিবার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy