বাড়ির পিছনে একা একাই খেলছিল বছর আটেকের দীপক। হঠাৎই পাশের ঝোপ থেকে একটি গোখরো বেরিয়ে এসে তার হাতে পেঁচিয়ে ধরে। ভয় পেয়ে গিয়ে সাপটিকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই সেটি দীপকের হাতে দাঁত বসিয়ে দিয়েছিল। ব্যথায় কঁকিয়ে উঠেছিল দীপক। তার পরই ঝটকা মেরে হাত থেকে গোখরোটিকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
সাপটিকে ছাড়াতে এর পরই সেটির গায়ে জোরে কামড় বসিয়ে দিয়েছিল দীপক। আর সেই কামড়েই ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় গোখরোটির। নিস্তেজ হয়ে পড়তেই সাপের প্যাঁচ আলগা হয়ে যায়। তার পরই সেটিকে ছুড়ে ফেলে দেয় দীপক।
এর পরের ঘটনা আরও চমকের। না, এতে দীপকের বিন্দুমাত্র শারীরিক কোনও সমস্যা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। বিষ প্রতিরোধক ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। দিনভর নজরে রাখার পর দীপককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের রাইপুরের জশপুর জেলার পান্দারপাড় গ্রামে। দীপক বলে, “বাড়ির পিছনে খেলছিলাম। সাপটি এসে হাতে পেঁচিয়ে ধরে কামড়ে দেয়। প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছিল হাতে। কিন্তু সাপটি কিছুতেই হাত ছাড়ছিল না। জোরে ঝটকা মারি। তার পরেও যখন হাত ছাড়েনি, দিলাম পর পর দু’বার কামড় বসিয়ে। মুহূর্তেই এই ঘটনাটি ঘটে গিয়েছিল।”
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাপটি দীপককে কামড়ালেও কোনও রকম উপসর্গ দেখা যায়নি তাঁর শরীরে। সাপ বিশেষজ্ঞ কাইজ়ার হুসেনের কথায়, “গোখরো দীপকের হাতে কামড় বসালেও বিষ উগরে দেয়নি। ওটা ছিল শুধুমাত্র কামড়। বিষ ছোবল নয়। আর এ ধরনের কামড়ে খুব ব্যথা হয়। যে জায়গায় কামড় বসায় সাপ, শুধুমাত্র সেই জায়গা ফুলে ওঠে।” কাইজ়ার জানান, এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল।
জশপুর জেলায় ২০০ প্রজাতির সাপ পাওয়া যায়। এই জেলায় উপজাতি সম্প্রদায় মানুষের বাস। প্রচুর পরিমাণে সাপ পাওয়া যায় বলে এই জেলাকে ‘নাগলোক’ও বলা হয়।