এই সেই বৃদ্ধ জগদীশ কুশওয়া। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি জীবিত। কিন্তু প্রশাসনের খাতায় ‘মৃত’। আর নিজেকে তাই জীবিত প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এক বৃদ্ধ। ‘মরিনি, আমি এখনও বেঁচে আছি সাহেব!’ গলায় এ রকমই একটা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে তাঁকে।
জগদীশ কুশওয়াহা। ভোপালের মাঝিয়ারি গ্রামের বাসিন্দা। ২০২১ সাল থেকে তিনি প্রশাসনের চোখে ‘মৃত’। কুশওয়াহা জানান, ওই বছরে পেনশনের কাজে পুরসভায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে বলা হয় পেনশন দেওয়া যাবে না। কারণ তিনি ‘মৃত’। এ কথা শুনে জগদীশ চমকে উঠেছিলেন। পুরসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি জগদীশ কুশওয়াহা। এখনও বেঁচে আছি। সশরীরে হাজির হয়েছি।” কিন্তু তাঁর কথা বিশ্বাস করতে চায়নি পুরসভা। সেই থেকেই নিজেকে জীবিত প্রমাণে লড়াই শুরু কুশওয়াহার।
তার পর মাঝে আরও আড়াই বছর কেটে গিয়েছে। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। তিনিই যে জগদীশ কুশওয়াহা, তা প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে গিয়ে বলেছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ বৃদ্ধের। নিজের ‘লাইফ সার্টিফিকেট’ও প্রমাণ হিসাবে জমা দিয়েছেন, তার পরেও প্রশাসনের চোখে ‘মৃত’ই থেকে গিয়েছেন গত আড়াই বছর ধরে। ঘটনাচক্রে, এ বার লোকসভা নির্বাচনে ভোটও দিয়েছেন জগদীশ। তাঁর স্ত্রীর কথায়, “যদি আমার স্বামীর মৃত্যু হত, তা হলে কী ভাবে তিনি ভোট দিলেন?”
বৃদ্ধের এই ঘটনা নিয়ে যখন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে জোর চর্চা শুরু হয়, প্রশাসন তৎপর হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। তাঁর বাড়িতে প্রশাসনের তরফে লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হয়। তার পরই জগদীশকে আবার ‘জীবিত’ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy