সীমা হায়দর। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁকে নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই। এক এক করে সেই রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের এটিএস এবং গোয়েন্দারা। তাদের হাতে সীমা হায়দর সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসলেও, তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কোনও চর কি না, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। যদিও সন্দেহ করা হচ্ছে, সীমা কোনও সাধারণ বধূ বা মহিলা নন, তাঁর কর্মকাণ্ড এবং জীবনের সঙ্গে অনেক রহস্যই লুকিয়ে আছে। আর সেই রহস্যোদ্ঘাটনে ব্যস্ত গোয়েন্দারা।
তিনি পাকিস্তানের চর, এমন অভিযোগ যখন উঠতে শুরু করেছে, তাঁকে যখন পাকিস্তানের ফেরত পাঠানোর দাবি জোরালো হচ্ছে, তখন সীমা কিন্তু তাঁকে সে দেশে না পাঠানোর আর্জিই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেন, “যদি পাকিস্তানের কেউ জানতেন যে, আমি ভারতে যাচ্ছি, তা হলে ওঁরা আমাকে মেরে ফেলতেন। আমি কোনও চর নই। সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।”
এর পরই সীমা প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীর কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, “মোদীজি এবং যোগীজির কাছে অনুরোধ করছি, আমাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাবেন না।” সীমার দাবি, ভারতে অবৈধ ভাবে ঢোকা ছাড়া তাঁর আর কোনও উপায় ছিল না। তাঁর কথায়, “আমার কোনও উপায় ছিল না। পাকিস্তানে থাকতে চাইনি। তাই চলে এসেছি। শুধু তাই-ই নয়, আমি কিন্তু অতীতের কোনও তথ্য গোপন করিনি।”
নিজের সম্পর্কে বার বার সাফাই দিলেও, নিজেকে চর বলে মানতে রাজি না হলেও, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কিন্তু সীমার ঠিকুজি-কুষ্ঠির গভীরে গিয়ে সব তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত। তারা কোনও রকম ফাঁক রাখতে চাইছে না।
পাবজি খেলতে গিয়ে সীমার সঙ্গে পরিচয় হয় উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার রবুপুরা এলাকার সচিন মীণার। তার পর প্রেম, বিয়ে। ভারতে অবৈধ ভাবে ঢোকার জন্য গত ৪ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনও পেয়ে যান তিনি। কিন্তু সীমা কে, কেনই বা এ দেশে এসেছেন, শুধুই কি প্রেমের টান, না কি এর নেপথ্যে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র আছে, তা নিয়ে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy