হায়দরাবাদের জেদিমেতলা থানার অন্তর্গত সঞ্জয় গান্ধী নগরে ঘটনাটি ঘটে। প্রতীকী ছবি।
দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম পক্ষকে অবহেলা করতেন স্ত্রী। সেই মহিলার সঙ্গে যোগসাজশ করেই স্বামীকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। গত রবিবার হায়দরাবাদের জেদিমেতলা থানার অন্তর্গত সঞ্জয় গান্ধী নগরে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম সুরেশ (২৮)। অভিযুক্ত প্রথম পক্ষের স্ত্রীর নাম রেণুকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে রেণুকার প্রেমে পড়েন পেশায় অটোচালক সুরেশ। ওই বছরই তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রেণুকা পানাসক্ত হয়ে পড়েন। তাঁর বেশির ভাগ সময়ই কাটত মদের দোকানে। পুলিশ জানিয়েছে, মদের ঠেকে যেতে যেতে তিনি বেশ কয়েকটি বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন।
সম্প্রতি বাহাদুরপল্লীর একটি মদের দোকানে দুন্ডিগাল থান্ডা এলাকার এক অনাথ যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় রেণুকার। অল্প সময়েই ভাল বন্ধু হয়ে যান তাঁরা। এর পর রেণুকা তাঁকে ঘরে নিয়ে আসেন এবং পরে নিজের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে দেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সুরেশ গত ১৫ দিন ধরে একই ছাদের নীচে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর রেণুকার সঙ্গে বিচ্ছেদের চেষ্টা করেন সুরেশ। যে কারণে দু’জনের মধ্যে ঝগড়াও হয়। এর মধ্যেই গত রবিবার রাতে দুই স্ত্রীকে নিয়ে মদ খেতে বসেছিলেন সুরেশ। অভিযোগ, সুরেশ মত্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর, দ্বিতীয় স্ত্রীর সাহায্যে স্বামীর গলায় ফাঁস দিয়ে তাঁকে খুন করেন রেণুকা। এর পর সুরেশের দুই স্ত্রী তাঁর দেহ একটি ব্যাগে পুরে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে আসেন। পরের দিন রেণুকা নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান যে, কেউ তাঁর স্বামীকে খুন করে মৃতদেহ বাড়ির সামনে ফেলে রেখে দিয়ে গিয়েছে। এর পর তদন্তে নেমে পুলিশ রেণুকা এবং সুরেশের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। জেরায় তাঁরা দু’জনেই সুরেশকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy