ফাইল চিত্র।
হায়দরাবাদের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত চার জনের দেহ পুনরায় ময়না-তদন্তের নির্দেশ দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট।
গত ৬ ডিসেম্বর পুলিশি এনকাউন্টারে খুন হয় ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই চার জন। বিচারের আগেই কেন ও-ভাবে খুন করা হল চার জনকে, সেই প্রশ্ন তুলে এবং ওই এনকাউন্টারকে ‘ভুয়ো সংঘর্ষ’ দাবি করে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। এর পরে কোর্টের নির্দেশে ওই চার জনের দেহ সরকার পরিচালিত গাঁধী হাসপাতালে রাখা রয়েছে। প্রধান বিচারপতি আর এস চৌহান ও বিচারপতি এ অভিষেকের বেঞ্চ আজ তেলঙ্গানার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিয়েছে, তিনি যেন দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সেস’-এর ডিরেক্টরকে অনুরোধ করেন, তিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি দল গড়ে ওই ৪ জনের দেহের দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্ত করেন। হাইকোর্ট আরও বলেছে, ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্ত করে আদালতের ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল’-এর কাছে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। তার পরে ওই চার জনের দেহ যেন তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্ত থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণ বিচার করে চিকিৎসকেরা যেন স্বাধীন ভাবে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান, সেই নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
রাজ্য সরকারের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-কে কেস ডায়েরি, পুলিশ কর্তাদের গতিবিধি, সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্র সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি তাদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি আর এস চৌহানের বেঞ্চ।
গত শুক্রবার তেলঙ্গানার অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতের কাছে জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে এক বার ময়না-তদন্ত হয়েছে। দ্বিতীয় বার সেটি করার আর কোনও প্রয়োজন নেই। কিন্তু আজ আদালত-বান্ধব ডি প্রকাশ রেড্ডি হাইকোর্টের নির্দেশেই নিহতদের দেহগুলি হাসপাতালে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় বার ময়না-তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলেই হাইকোর্টের এই নির্দেশ। সুপ্রিম কোর্টও সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy