প্রতীকী ছবি।
শুধুমাত্র ডান্স নয়, কাস্টমারদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কও করতে হবে। তার জন্য আলাদা করে টাকাও মিলবে। বার ডান্সার হিসাবে কাজে ঢোকার পর থেকেই বছর পঁচিশের যুবতীর উপর এমন দাবিতে চাপ দিতে থাকেন মালিকপক্ষ ও অন্য ডান্সাররা। তবে তাতে রাজি হননি ওই যুবতী। রবিবার ফের একই দাবি করেন তাঁরা। সে কথা না শোনায় ওই যুবতীকে নগ্ন করে পেটালেন বার-এর চার ডান্সার ও এক ক্রেতা। ঘটনা হায়দরাবাদের বেগমপেট এলাকার একটি নামজাদা ডান্স বার-এর। এ ঘটনায় ওই চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পলাতক ওই কাস্টমার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত জানুয়ারিতে বেগমপেটের একটি জনপ্রিয় বার-এ ডান্সার হিসাবে কাজ করতে এসেছিলেন ওই যুবতী। এর আগে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলেন তিনি। টাকাপয়সার টানাটানি হওয়ায় ডান্স বার-এ কাজ নেন। পুলিশের কাছে তাঁর অভিযোগ, “কাজে যোগ দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই আমাকে হয়রানি করতে শুরু করেন বার-এর ম্যানেজমেন্ট। কাস্টমারদের কাছে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া, তাঁদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার জন্য আমাকে জোরাজুরি করত।” তবে বার কর্তৃপক্ষের দাবিতে রাজি ছিলেন না বলে জানিয়েছেন ওই যুবতী।
গত কাল ওই যুবতীকে ফের একই কাজ করতে বলা হয়। তবে তাতে রাজি না হওয়ায় ওই বার-এর চার ডান্সার তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেখানে ছিলেন সইদ নামের এক কাস্টমার। এর পর পাঁচ জনে মিলে নিগ্রহ করেন ওই যুবতীকে। চলতে থাকে চড়চাপাটি, বেধড়ক মারধর। মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয় রাস্তায়। সেখানেই এক সময় নগ্ন করে পেটানো হয় তাঁকে। কোনও রকমে তাঁদের হাত থেকে পালিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন ওই যুবতী। তাঁর আরও অভিযোগ, মারধরের সময় পুলিশের কাছে সাহায্যের আর্তি জানিয়েও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: সংখ্যা নিয়ে ভাববেন না, আপনাদের মতামতের মূল্য রয়েছে, বিরোধীদের বললেন মোদী
আরও পড়ুন: অধীরের পিঠ চাপড়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘এই হলেন আসল যোদ্ধা’
ঘটনার পর ওই বার-এর চার অভিযুক্ত ডান্সারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছেন সইদ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন ওই চার জনকে আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গোটা ঘটনার সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তেলঙ্গানার ডিজিপি মহেন্দ্র রেড্ডি।
এ বার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy