ফাইল চিত্র।
সদ্যোজাত কন্যার নাম কী হবে, সে ব্যাপারে একমত হতে পারছিলেন না এক দম্পতি। সেই মতান্তর শেষে বিচ্ছেদে গড়াল।
একরত্তি মেয়েটির বাবার অভিযোগ, মেয়েকে দেওয়া তাঁর নামটি তাঁকে না জানিয়েই বদলে ফেলেছেন তাঁর স্ত্রী। আর সে কাজে মদত যুগিয়েছেন তাঁর শ্বাশুড়ি। অন্য দিকে, মেয়েটির মায়ের দাবি, তাঁর পছন্দের পরোয়া না করেই মেয়ের নাম রাখা হয়েছে। তাঁকে তার সন্তানের নাম করণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
নামকরণ অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে শেষে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়েটির বাবাই।এতে তাঁর কোনও ভুল হচ্ছে কি না জানতে চেয়ে ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানেই ঘটনাটির পূর্বাপর কাহিনীও জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, সন্তানের জন্মের আগে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যে চুক্তি হয়েছিল তা মানলে আজ এই অবস্থার মুখোমুখি হতে হতো না।
মেয়েটির বাবার কথায়, সন্তানের জন্মের আগে ঠিক হয়েছিল ছেলে হলে তার নাম রাখবেন স্ত্রী। মেয়ে হলে সেই ভার বর্তাবে তাঁর উপর। কিন্তু প্রসবের আগেই তাঁর স্ত্রী এবং স্ত্রীয়ের আত্মীয়রা ধরে নেন ছেলেই হবে। এমনকি, ছেলের নাম ঠিক করে সেই নাম লেখা জামাকাপড় ও তৈরি করতে শুরু করে দেন তাঁরা। কিন্তু মেয়ে হওয়ায় তাঁরা মুষড়ে পড়েন।
ওই ব্যক্তি লিখেছেন, তাঁর স্ত্রী মেয়ের নামকরণ নিয়ে উৎসাহ না দেখানোয় চুক্তি অনুযয়ী তিনিই মেয়ের নাম রাখেন। কিন্তু এক বছরের মাথায় তিনি জানতে পারেন সেই নাম বদলে দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির বাবা জানিয়েছে, তাঁর আড়ালে নতুন নামে তাঁর মেয়েকে ডাকছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং শ্বাশুড়ি। প্রশ্ন করতেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তার পরই অশান্তির শুরু। তাঁকে না জানিয়ে কন্যার নাম বদলে ফেলার জন্য স্ত্রী এবং শ্বাশুড়িকেই দায়ী করে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, তাঁদের কাজে বিরক্ত হয়েই সম্পর্ক শের করবেন বলে ঠিক করেছেন তিনি।
যদিও সব শুনে ইন্টারনেটে সবাই তাঁকে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy