বিধায়ক বলজিন্দ্র কৌরকে নিগ্রহ স্বামীর। ছবি টুইটারের ভিডিয়ো থেকে।
বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের সামনেই স্ত্রীকে এক চড় কষালেন স্বামী। স্ত্রী পঞ্জাবের বিধায়ক তথা পঞ্জাবে আপের মহিলা শাখার প্রধান। স্বামীও আপের নেতা। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুব্ধ রাজনীতিক থেকে সাধারণ মানুষ। বিধায়কের স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে, যিনি নিজের ঘরে নির্যাতিত, তিনি কীভাবে নিজের কেন্দ্রের মানুষদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন?
ঘটনাটি ঘটেছে ভাটিন্ডার তালওয়াণ্ডি সাবোতে আপ বিধায়ক বলজিন্দ্র কৌরের বাড়ির ছাদে। বাড়ির কাছে একটি সিসিটিভি বসানো ছিল। তাতে ধরা পড়েছে চড় মারার ঘটনা। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক জন। তাঁদের সামনেই বচসায় জড়ান স্বামী-স্ত্রী। এর পর প্রচণ্ড রেগে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন সুখরাজ সিংহ। তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে যান বাকিরা।
৫০ সেকেন্ডের ফুটেজটি ১০ জুলাইয়ের। এত দিনে তা প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্জাব আপের তরফে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ঘটনার পর এত দিন কেটে গেলেও কেন অভিযোগ দায়ের করেননি তালওয়াণ্ডি সাবোর দু’বারের আপ বিধায়ক বলজিন্দ্র, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে পঞ্জাব রাজ্য মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন মণীশা গুলাটি বলেন, ‘‘নেটমাধ্যমে আমি বলজিন্দ্রের ভিডিয়োটি দেখেছি। আমরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করব। খুব খারাপ লাগছে, যিনি মহিলা নাগরিকদের ইস্যু তুলে ধরেন, তিনি নিজের ঘরেই নির্যাতিতা।’’
আপে যোগ দেওয়ার আগে ফতেগড় সাহিবের মাতা গুজরি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন বলজিন্দ্র। ২০১৭ সালে প্রথম বার পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন লড়ে জিতেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে সুখরাজের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বলজিন্দ্র এখন আপের জাতীয় এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য। পঞ্জাব আপের মহিলা শাখারও প্রধান।
বলজিন্দ্রের এই হেনস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন অকালি দল নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। বলেন, ‘‘বিধায়ক বলজিন্দ্রের স্বামীর এই হিংসাত্মক আচরণকে ধিক্কার জানাই। মহিলাদের নিগ্রহ করে যাঁরা নিজেদের শক্তিশালী মনে করেন, তাঁদের ধিক্কার। বলজিন্দ্রের স্বামীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’
Empowering women is not a deterrent to stop violence against women.Shocking to see @BaljinderKaur_ MLA getting slapped in broad day light.Mindset of men has to change.
— Brinder (@brinderdhillon) September 1, 2022
The problem lies in the perpetrator’s of these acts.Change this male chauvinism attitude more then anything else pic.twitter.com/Qxm6rhrtht
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy