উদ্ধার হওয়া নরকঙ্কাল। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
এ বার নরকঙ্কাল উদ্ধার হল মুজফ্ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিছন থেকে। আর তা নিয়ে দিনভর চলল চাপানউতোর। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সুপার এস কে শাহি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘হাসপাতালের এক শ্রেণির কর্মীর গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহের সৎকারের জন্য সরকার ২ হাজার টাকা বরাদ্দ করে।’’ কিন্তু সেই টাকা নিয়েও কাজটি করা হয়নি বলেই মনে করছেন তিনি।
সাধারণত ময়না-তদন্তের পরে মর্গে কিছু বেওয়ারিশ লাশ থেকে যায়। নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পর তা হয় পুড়িয়ে বা কবর দেওয়া হয়। সেই কাজের জন্য দেহ প্রতি ২ হাজার টাকা হাসপাতালই দেয়। এ দিন হাসপাতালের পিছনের দিকে একটি জঙ্গল মতো জায়গায় হঠাৎই কিছু কঙ্কালের সন্ধান মেলে। কিছু কঙ্কাল বস্তাবন্দি অবস্থাতেও মেলে। হইচই শুরু হয়। জেলাশাসক অলোকরঞ্জন ঘোষ রিপোর্ট তলব করেছেন। কঙ্কাল উদ্ধারের পরে সিটি এসপি এবং মহকুমাশাসক হাসপাতালে যান। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব কৌশল কিশোর বিষয়টি নিয়ে সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এ দিন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তা মনোজ ঝালানি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব কৌশল কিশোর, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অরুণকুমার সিংহ, জেলাশাসক অলোকরঞ্জন ঘোষ প্রমুখ শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। পেডিয়াট্রিক আইসিইউ পরিদর্শন করার পরে তাঁরা চিকিৎসকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
গোটা বিহারে অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৭ হয়েছে। অসুস্থ হয়ে ভর্তি প্রায় ৬৫০ জন। মুজফফরপুরেই মারা গিয়েছে ১২৯ জন। বাকি ১২টি জেলাতেও এইএসের প্রভাব রয়েছে। আজ মুজফ্ফরপুর ও লাগোয়া এলাকায় ভাল বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে তার জেরে অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোম (এইএস)-এর প্রভাব কমবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy