প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন ওটিং গ্রামের বাসিন্দারা। ফাইল ছবি।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ৮ স্থানীয় বাসিন্দার। তার পর পাল্টা হামলা চলে সেনা ছাউনিতে। তাতে মৃত্যু হয় আরও ৬ স্থানীয় বাসিন্দার। প্রাণ হারিয়েছিলেন এক সেনা জওয়ানও। সাত দিন পর নাগাল্যান্ডের মন জেলায় প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলালেন সাধারণ মানুষ। মিছিলে হাজির ছিলেন ওটিং গ্রামের বাসিন্দারাও।
সে দিনের গুলিচালনার ঘটনায় মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১২ জনই মন জেলার ওটিং গ্রামের বাসিন্দা। প্রতিবাদ মিছিল থেকে দাবি ওঠে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রতিবাদ মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে ছিল নাগাল্যান্ডের উপজাতিদের প্রভাবশালী সংগঠন কোনইয়াক ইউনিয়ন। উত্তর-পূর্ব থেকে আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট (আফস্পা) প্রত্যাহারেরও দাবি তোলা হয়।
শনিবার ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হোনাং কোনইয়াক বলেন, ‘‘সুবিচারের দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সমবেদনার প্রয়োজন নেই। সত্যকে এ ভাবে ওলটপালট করে ব্যক্ত করা দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সংসদে দেওয়া বিবৃতি ভুল তথ্যে ভরা। তাঁর সংসদে বলা নিজের বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। আমরা চাই, তিনি যেন এ জন্য ক্ষমা চান। ১৪ জন কোনইয়াক যুবকের মৃত্যুর সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা শান্ত হয়ে বসতে পারি না।’’
গুলি চালনার ঘটনার পর আফস্পা তোলার দাবি করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও এবং প্রতিবেশী মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, দুই মুখ্যমন্ত্রীই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন জোট এনডিএ-র সদস্য। নাগাল্যান্ডে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতিও সেনার গুলিতে স্থানীয়দের মৃত্যুর ঘটনাকে 'হত্যালীলা' বলে অভিহিত করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy