যন্তর মন্তর থেকে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ফাইল চিত্র।
প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়াতে এ বার ‘মহাসম্মেলন’-এর ডাক দিল কৃষকদের একটি বৃহৎ সংগঠন। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে বৃহস্পতিবার এই সম্মেলনটি হবে। সম্মেলনটির উদ্যোক্তা হিসাবে মূলত উঠে আসছে কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নাম। সংগঠনের নেতা তথা বালিয়ান খাপের প্রধান নরেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে মূলত কুস্তিগির প্রতিবাদ আন্দোলন নিয়েই আলোচনা হবে।
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন কুস্তিগিরেরা। ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে যন্তর মন্তরে ধর্না দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদন করেছেন তাঁরা। এর পর তাঁরা ইন্ডিয়া গেটের সামনে আমরণ অনশনে বসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যন্তর মন্তরে তাঁদের বসতে দেওয়া হবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের বার বার অনুরোধ করার পরেও তাঁরা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। তাই তাঁদের যন্তর মন্তরে বসতে দেওয়া হবে না। এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরে কুস্তিগিরেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ইন্ডিয়া গেটের সামনে অনশন করবেন তাঁরা। ব্রিজভূষণ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই অনশন চলবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাক্ষীরা। কিন্তু সেখানেও তাঁদের বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির দাবিতে রবিবার মিছিল করে নতুন সংসদ ভবনের দিকে এগোচ্ছিলেন সাক্ষী, বিনেশরা। তাঁরা ‘মহিলাদের মহাপঞ্চায়েত’ করার কথা জানিয়েছিলেন। কুস্তিগিরদের কর্মসূচির অনুমোদন আগেই খারিজ করেছিল পুলিশ। তার পরেও কুস্তিগিরেরা নতুন সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে গোল বাধে। তাঁদের আটক করা হয়।
মঙ্গলবার পূর্বঘোষণা মোতাবেক পদক বিসর্জন দেওয়ার জন্য দিল্লি থেকে হরিদ্বারে যান বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটেরা। হর কি পৌড়ী ঘাটে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাক্ষী, বিনেশরা। সাক্ষীদের সঙ্গে ছিলেন পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় অনেক মানুষ ভিড় করেন সেখানে। কুস্তিগিরদের সমর্থনে স্লোগান দেন সাধারণ মানুষ। অনেকে আবার কুস্তিগিরদের কাছে আবেদন করেন, তাঁরা যেন পদক বিসর্জন না দেন। ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতেও স্লোগান ওঠে সেখানে। তার মাঝেই সেখানে উপস্থিত হন কৃষকনেতারা। তাঁরা গিয়ে বজরংদের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন। কুস্তিগিরদের কাছ থেকে পদকগুলি চেয়ে নেন তাঁরা। কৃষকনেতারা বোঝান, দেশের হয়ে জেতা সম্মান এ ভাবে গঙ্গায় ফেলে দিলে সেটা দেশকে অপমান করা হবে। তাঁদের পরামর্শ মেনে নিয়েছেন বজরংরা। নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করেছেন কুস্তিগিরেরা। তবে তাঁরা কেন্দ্রকে ৫ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন। তার মধ্যে তাঁদের দাবি না মানলে ৫ দিন পরে গঙ্গায় পদক বিসর্জন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy