মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।
অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির চাপে পড়ে অবশেষে পিছু হটল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ জাতীয় খসড়া নীতি সংশোধন করে কেন্দ্র জানিয়েছে, অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির স্কুলে ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবেই থাকবে হিন্দি। তিন ভাষা শিক্ষা নীতিতে কোনও পড়ুয়া চাইলে হিন্দি পড়তে পারে, আর পাঁচটি ভাষার মতোই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুর মতো অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে কোনও ভাবেই পড়ুয়াদের জন্য হিন্দি শিক্ষা আবশ্যিক নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন বলেন, ‘‘প্রথমে মাতৃভাষা। তার পরে যে কোনও ভাষা শিখতে পারি। এই পছন্দের স্বাধীনতা থাকা উচিত।’’
চাপের মুখে আজ সকালে শিক্ষা নীতির খসড়া সংশোধনের বিষয়টি সামনে আসে। সংশোধিত খসড়ায় হিন্দিকে বাধ্যতামূলক না করে ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে পড়ুয়ারা নিজেদের পছন্দমতো এক বা একাধিক ভাষা বাছতে পারবে। চাইলে শিক্ষকদের পরামর্শ নিয়ে ঐচ্ছিক ভাষা পরিবর্তনও করতে পারে তারা। আজ সংশোধনীতে তিন ভাষা শিক্ষা নীতির ক্ষেত্রে কোথাও হিন্দি ভাষা শব্দটি উল্লেখ করা হয়নি। যেখানে আগের খসড়ায় অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে ইংরেজি ও সে রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষার সঙ্গে হিন্দি পড়া আবশ্যিক বলে জানানো হয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবারের ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান’ নীতির প্রথম ধাপ হিসেবেই এই খসড়া বানানো হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরেই সঙ্ঘ পরিবার গোটা দেশে এক ভাষা প্রণয়নের পক্ষে।
আজ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে ইংরেজি ও সে রাজ্যের আঞ্চলিক ভাষা ছাড়াও অষ্টম তফসিলে হিন্দি-সহ যে ২২টি ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তার যে কোনও একটি ভাষাকে বেছে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। তবে মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘কোনও ভাষা বেছে নেওয়ার আগে তা শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে কি না, স্কুলের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে পড়ুয়াকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy