ছবি: পিটিআই।
১৭ দিন আটকে থাকার পর গত ২৮ নভেম্বর রাতে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। যা গোটা দেশে স্বস্তি এবং আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে শ্রমিকরা কেমন আছেন, তা জানা গেলেও সশরীরে তাঁদের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল গত ১০ নভেম্বর। তা-ও আবার একটি পাইপের মধ্যে দিয়ে ক্যামেরা পাঠিয়ে সেই ভিডিয়ো করা হয়েছিল। কিন্তু সুড়ঙ্গের ভেঙে পড়া অংশের ও পাশে ৪১ জন শ্রমিক কী ভাবে সময় কাটিয়েছেন, কোথায় শুয়েছেন, কী কী ছিল তাঁদের সঙ্গে সেই ভিডিয়ো গত ১৭ দিন ধরে প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু এ বার সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিয়োটি তুলেছেন আটকে পড়া শ্রমিকদেরই এক জন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শ্রমিকরা কেউ শুয়ে, কেউ বসে নিজেদের মধ্যে গল্প করছেন। যে শ্রমিক ভিডিয়ো করছিলেন, তাঁর সঙ্গীদের এক জন কে জিজ্ঞাসা করছিলেন, “কী করছ?” উত্তর আসে, “বসে আছি।” আর এক জনকে জিজ্ঞাসা করেন, “কাল রাতে কখন শুতে গিয়েছিলে?” এর পরই ক্যামেরায় দেখান পাথুরে রাস্তার উপর কম্বল বিছানো। সেখানে কোনও শ্রমিক শুয়ে, কেউ বসে। সুড়ঙ্গের ভিতরের ঘুটঘুটে অন্ধকারকে চিরে জ্বলছে বেশ কিছু লাইট।
ওই শ্রমিককে আবার জিজ্ঞাসা করতে শোনা গেল, “রাতে কী করছিলে? সিনেমা দেখছিলে? বাকিরা কোথায় গেল?” উত্তর আসে, “বাথরুমে গিয়েছে।” খাবার ঠিক মতো খাচ্ছেন কি না, তা-ও জিজ্ঞাসা করেন শ্রমিকদের। কোনও টেনশন হচ্ছে কি না, মনখারাপ করছে কি না, শরীর ঠিক লাগছে কি না— ইত্যাদি প্রশ্ন করছিলেন। সুড়ঙ্গের যে অংশে আটকে পড়েছিলেন, সেটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার। বেশ কিছু শ্রমিককে আবার হাঁটাচলা করতেও দেখা গেল। একে অপরকে তাঁরা অভয় দিচ্ছিলেন। এক জায়গায় আবার দেখা যাচ্ছে, বাইরে থেকে পাঠানো ফল, জল এবং খাবার রাখা রয়েছে। শ্রমিকেরা আটকে প়ড়া থেকে উদ্ধারের দিন পর্যন্ত এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসেনি। সম্প্রতি এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ঘুরছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
Visuals of the 2-km stretch inside Silkyara tunnel in Uttarkashi where 41 workers were trapped for 17 days, before they were rescued on November 28.
— Press Trust of India (@PTI_News) November 30, 2023
In the video, made by one of the trapped workers, they can be heard motivating each other. pic.twitter.com/ds2k8W7Jis
গত ১২ নভেম্বর সুড়ঙ্গের একটা অংশ ভেঙে পড়ায় তার ভিতরে আটকে পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। তার পর থেকে তাঁদের উদ্ধারের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবশেষে গত ২৮ নভেম্বর শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy