জয়পুরে ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের পর চলছে উদ্ধারকাজ। ফাইল চিত্র।
রাজস্থানের জয়পুরে যে এলপিজি ট্যাঙ্কারের ধাক্কার জেরেই বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই ট্যাঙ্কারের চালক কী ভাবে বেঁচে গেলেন, তা নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে চালককে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। অভিযুক্ত চালকের নাম জয়বীর। সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জয়বীরকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন পেট্রল পাম্পের কাছে জয়পুর-অজমের হাইওয়েতে এলপিজি ট্যাঙ্কারের বাঁক নিচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই পাশের লেনে একটি ট্রাক চলে আসে। সেই ট্রাকটি ধাক্কা মারতেই ট্যাঙ্কারটি লিক হয়ে গ্যাস বার হতে শুরু করে। বিপদ বুঝে ট্যাঙ্কারের চালকের আসন থেকে রাস্তায় লাফ দিয়ে নেমে দৌড়তে শুরু করেন। বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছেন বুঝতে পেরে জয়বীর থেমে যান। আর তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে ১৪ জনের ঝলসে মৃত্যু হয়েছে।
তবে এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে তা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। ট্যাঙ্কার চালককে গ্রেফতার করা হলেও তিনিই কি এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও স্থানীয়দের অনেকেই রাস্তা সারাইয়ের কাজ, ট্যাঙ্কারের আচমকা বাঁক নেওয়ার ঘটনাকেই দায়ী করেছেন। এ ছাড়াও অনেকে আবার ট্র্যাফিক ব্যবস্থার গাফিলতিকেও দায়ী করছেন। ট্যাঙ্কার চালকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অনেকে বলছেন, কেন ট্যাঙ্কার লিক হওয়ার পরেও সতর্ক করলেন না তিনি। বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বুঝে কেন তিনি সতর্ক না করে পালিয়ে গেলেন?
পুলিশ জানিয়েছে, ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনার পর নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে গাড়ির মালিককে ফোন করেন চালক জয়বীর। তাঁকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানান। তার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজের বাড়ি মথুরাতে চলে যান। তদন্তে নেমে ট্যাঙ্কার চালকের হদিস না পেয়ে সেই গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁর সূত্র ধরেই চালক জয়বীরের খোঁজ পায় তারা। তার পরই মথুরা থেকে গ্রেফতার করা হয় চালককে।
গত শুক্রবার জয়পুরে ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। আগুনে ঝলসে গিয়েছেন ২৩ জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy