—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ডেটিং অ্যাপে নাম ভাঁড়িয়ে প্রেম করছিলেন দু’জনেই। তবে তার পরিণতি যে ভয়াবহ হবে, তা এক জন খানিক জানলেও, অন্য জন ছিলেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে। ২০১৮ সালে একটি জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপে আলাপ হয় ২৮ বছরের দুষ্যন্ত শর্মা এবং ২৭ বছরের প্রিয়া শেঠের। দু’জনেই নাম এবং পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রেমের অভিনয় করে যাচ্ছিলেন। যখন একে অপরের আসল পরিচয় জানতে পারলেন, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
দুষ্যন্ত বিবাহিত। কিন্তু ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভিভান কোহলি নাম নিয়ে ডেটিং অ্যাপটিতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তিনি। নিজেকে বড় ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এই ব্যবসায়ী পরিচয়েই আকৃষ্ট হয়েছিলেন প্রিয়া, যিনি নিজেও ছদ্মনামের আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রিয়ার আসল লক্ষ্য ছিল দুষ্যন্তকে অপহরণ করে মোটা টাকা আদায় করা।
আলাপের তিন মাস পরেই প্রিয়ার প্রস্তাবেই একটি ভাড়াবাড়িতে আসেন দুষ্যন্ত। প্রেমিক দীক্ষান্ত কামরা এবং আরও এক সহযোগী লক্ষ্য ওয়ালিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দুষ্যন্তকে একটি গোপন জায়গায় আটকে রাখেন প্রিয়া। ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয় দুষ্যন্তের পরিবারের কাছে। কিন্তু অভাব-অনটনের সংসারে সামান্য কিছু টাকাই দিতে পেরেছিলেন দুষ্যন্তের বাবা। তার পরই প্রথমে শ্বাসরোধ করে, তাতে পুরো সফল না হয়ে পরে কুপিয়ে দুষ্যন্তকে হত্যা করেন অভিযুক্ত তিন জন। ঘটনার চার বছর পর, শুক্রবার ওই চার জনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে জয়পুরের একটি আদালত।
ঘটনার বেশ কয়েক মাস পরে অন্যতম অভিযুক্ত প্রিয়া জানিয়েছিলেন, কেন তিনি দুষ্যন্তকে মেরেছেন। তাঁর প্রেমিক দীক্ষিতের বাজারে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা ধার ছিল। সেই ধার মেটাতেই ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে প্রেম করা দুষ্যন্তকে অপহরণ করার ছক কষেন প্রিয়া। কিন্তু তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পেয়েও কেন দুষ্যন্তকে মেরে ফেলা হল? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া ভাবলেশহীন ভাবেই জানিয়েছিলেন যে, টাকা অনেক দেরিতে এসেছিল। তার আগেই দুষ্যন্তকে মেরে ফেলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy