গত ১৩ মাসে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনায় কত জন গ্রেফতার হয়েছেন? পরিসংখ্যান তুলে ধরল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই একটি প্রশ্নের প্রেক্ষিতে লিখিত জবাব দিয়ে জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ২৬০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে অনুপ্রবেশের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতারির ঘটনা অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি। সে মাসে বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ৩৩১ জন। অগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহে গ্রেফতারির সংখ্যা তুলনায় কম। মাত্র ২১৪। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সীমান্তে ১৭৬ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি, বিএসএফের সাহায্যেই সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে এত বিপুল সংখ্যক অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা গিয়েছে। অন্য দিকে, মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৪৬১ কোটি টাকার অবৈধ দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে। গত ১০ বছরে সীমান্তে মোট ২৮০৬ কোটি টাকার অবৈধ দ্রব্য উদ্ধার করা হলেও ২০২৪ সালে এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। টাকার অঙ্কে যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৬.৭ শতাংশ বেশি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে রাতে বিশেষ ‘নাইট ভিশন ক্যামেরা’র সাহায্য নিচ্ছে বিএসএফ। গোয়েন্দা তথ্যকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সঙ্গেও সমন্বয় রেখে চলছে বিএসএফ।
গত অগস্টে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ক্ষমতা এবং দেশত্যাগের পর সে দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়। সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন হাসিনার দল আওয়ামী লীগের বহু নেতা-কর্মী। তার পরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও আঁটসাঁট করে বিএসএফ। প্রহরীবিহীন সীমান্তের একাংশে কাঁটাতার বসানো হয়।