আরুশা এবং অমরেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত।
নভজোৎ সিংহ সিধুর বিরুদ্ধে ‘পাক যোগ’ নিয়ে একাধিক বার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ বার সেই অমরেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সংশ্রবের অভিযোগ তুলল কংগ্রেস।
পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুখজেন্দ্র সিংহ রণধাওয়া শুক্রবার জানিয়েছেন, অমরেন্দ্র ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানি সাংবাদিক আরুশা আলমের সঙ্গে আইএসআই-এর যোগাযোগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে তদন্ত করা হবে। রণধাওয়া বলেন, ‘‘অমরেন্দ্র সিংহ নিজেই বলেছেন, পঞ্জাবের নিরাপত্তার পক্ষে আইএসআই বিপদ। তাই আমরা আরুশার সঙ্গে আইএসআই-এর যোগাযোগ আছে কি না, সে বিষয়েও তদন্ত করব।’’
গত সাড়ে চার বছর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালী অমরেন্দ্র একাধিক বার সীমান্ত পেরিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থার ড্রোন ঢুকছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বলেও ‘মনে করিয়ে দেন’ পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহেই অমরেন্দ্র জানিয়েছেন, কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়ে ২০২২-এর পঞ্জাব বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চান তিনি। অমরেন্দ্রর ওই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি।
পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা সাংবাদিক হিসেবে আরুশার পরিচিত রয়েছে। তাঁর মা প্রয়াত অখলিম আখতার সত্তরের দশকে পাক রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। তৎকালীন সেনাশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে অখলিমকে আড়ালে ‘জেনারেল রানি’ নামে ডাকা হত।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, ২০০৪ সালে পাকিস্তান সফরের সময় অমরেন্দ্রর সঙ্গে আরুশার পরিচয় হয়েছিল। তার পর নানা কর্মসূচিতে দু’জনকে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অমরেন্দ্রর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি অতিথিদের আসনে ছিলেন আরুশা। নব্বইয়ের দশকে পাক নৌবাহিনীর অগুস্তা-৯০বি ডুবোজাহাজ কেনার দুর্নীতির অভিযোগেও আরুশার নাম উঠে এসেছিল। ওই দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল পাক নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মনসুরুল হককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy