উত্তরাখণ্ড পরিদর্শনে অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
টানা চার দিন প্রবল বৃষ্টির পরে বৃহস্পতিবার সকালে সূর্যের মুখ দেখল উত্তরাখণ্ড।
এ দিন সকাল থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় আকাশ পরিষ্কার থাকায় দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি-বিপর্যয়ে আজ উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪। এখনও ১৬ জনের খোঁজ মেলেনি। প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। নিরাপদে সরানো হয়েছে অন্তত ১৬ হাজার জনকে। গত কালই মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি জানিয়েছিলেন, রাজ্য জুড়ে এই ক’দিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য অন্তত সাত হাজার কোটি টাকা। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে আরও সময় লাগবে। ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ আকাশপথে কুমায়ুন-সহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফেরার পথে দেহরাদূনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের শাহ বলেন, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্যের আগাম সতর্কতা থাকায় আরও বড় বিপর্যয় এড়ানো গিয়েছে।’’ পরিস্থিতি খানিকটা ঠিক হওয়ায় আজ থেকে ফের চার ধাম যাত্রা চালু করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তবে ধসে বিধ্বস্ত বদ্রীনাথের পথ এখনও নিরাপদ নয়। তা-ই সে পথে অল্প অল্প করে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এ দিকে আজ সকালে দেহরাদূনে ৪০০ মিটার গভীর একটি খাদে গাড়ি উল্টে একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিপর্যস্ত নৈনিতালের জনজীবন একটু একটু করে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। রাজ্যে ৮০% জায়গায় মোবাইল পরিষেবা ফের চালু করে গিয়েছে। তবে রুদ্রপুর জেলার শিবপুরী গ্রাম এখনও জলমগ্ন। বহু বাসিন্দার কাছে ত্রাণটুকুও পৌঁছয়নি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সপ্তাহে আর ভারী বর্ষণের আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেই তারা মনে করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy