—ফাইল চিত্র।
বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করা হবে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ জারি করেছে দিল্লি সরকার। শুধু তাই নয়, প্রকাশ্যে হোলি, শব-এ-বরাত এবং নবরাত্রি উৎসব পালনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাজার, শপির মল এবং জনবহুল এলাকাগুলোতে বিশেষ ভাবে নজরদারি চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, ভিড় হয় এমন বেসরকারি বাস স্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করা হবে। যে সব রাজ্যে সংক্রমণ বেশি, সেই সব রাজ্য থেকে আগত যাত্রীদেরও এই পরীক্ষা করা হবে। সমস্ত জেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশিকা কঠোর ভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।
রাজধানীতে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। দৈনিক সংক্রমণ ১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ১০১ জন। গত বছরের ১৯ ডিসম্বর দৈনিক সংক্রমণ শেষ বার এই পর্যায়ে পৌঁছেছিল। মাঝে দু’মাস সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু মার্চের গোড়া থেকেই ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।
অন্য দিকে, সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও ৪ হাজার পার করে গিয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ছিল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। ওই দিন সংখ্যাটা ছিল ৪ হাজার ৪৮১। দেড় মাস পর আবার সংখ্যাটা পৌঁছেছে ৪ হাজার ৪১১। যে হারে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে তাতে প্রশাসনের উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। পরিস্থিতি যাতে লাগামছাড়া মাত্রায় না পৌঁছয় তাই এ বার বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড এবং রেল স্টেশনে যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তে হাঁটল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করছেন ফের সংক্রমণ বৃদ্ধি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত। আর এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে যেমন কিছুটা করোনার নতুন প্রজাতি দায়ী, ঠিক তেমনই জনসাধারণের কোভিডবিধি না মেনে চলাও এই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেশে করোনার ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯৫।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy