ছবি পিটিআই।
কাশ্মীর সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে সদ্য জানিয়েছে তালিবান। আফগানিস্তানের মসনদ দখলের পরে ওই মৌলবাদী সংগঠনের দাবি, কাশ্মীরে তাদের নজর নেই। কিন্তু আজ সেই কাশ্মীরেই তালিবানের সাহায্য চাইল পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিন। পাশাপাশি আর এক মৌলবাদী মুসলিম জঙ্গি সংগঠন আইএসের দাবি, আমেরিকার ‘ষড়যন্ত্রে’র ফলেই আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে তালিবান।
আজ তালিবানের জয়ে আনন্দ প্রকাশ করে একটি অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করেছে সালাউদ্দিন। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তিনি যেন আফগানিস্তানের ইসলামি আমিরশাহিকে আরও শক্তিশালী করেন। তাহলে তারা কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারবে।’’ কাবুলে তালিবান নেতারা যা-ই বলুন, পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি নেতার এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
অন্য দিকে এ দিন তালিবানের কাবুল দখলের দায় সরাসরি আমেরিকার ঘাড়ে চাপিয়েছে আর এক মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন আইএস। মুখপত্রে তাদের দাবি, আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার করে আফগানিস্তানকে তালিবানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আইএসের বক্তব্য, ‘‘কাবুলে তালিবানের প্রবেশের সময়ে দেখা গেল আমেরিকান সেনা ও তালিবানের মধ্যে কী ভাবে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে। কী ভাবে দু’পক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের ফলে হাজার হাজার ধর্মযোদ্ধা ও গুপ্তচরকে সে দেশ থেকে সরানো হল তা-ও দেখা গিয়েছে।’’ আইএসের দাবি, তালিবান ‘ভুয়ো জেহাদি’। তারা ‘প্রকৃত জেহাদ’-এর পথে হাঁটেনি। আফগানিস্তানে ‘প্রকৃত শরিয়তি শাসন’ কার্যকর করার ক্ষমতাও তাদের আছে কি না সন্দেহ।
আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, আইএস ও তালিবানের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। বিশেষত ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় আইএসের সেলগুলি খোরাসান শাখার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। ফলে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়েও আইএস ও পাক মদতে পুষ্ট এবং তালিবান-ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলির মধ্যে বিরোধ আছে বলে মনে করেন তাঁরা। বস্তুত কাশ্মীরের আইএসের সেল আসলে ভারত সরকারের তৈরি সংগঠন বলে অনেক বারই দাবি করেছে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবা।
এর মধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে তালিবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা হায়বাতুল্লা আখুনজ়াদার গতিবিধি নিয়ে। ভারত সরকারের একটি সূত্রের দাবি, তালিবানের এই শীর্ষ নেতাকে গত কয়েক দিন ধরে তাঁর সংগঠনের নেতারাই দেখেননি। তাদের দাবি, আখুনজ়াদা পাক সেনার হেফাজতে থাকতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy