প্রতীকী ছবি।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের ঘোষিত নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রথম বিষয়টি খুঁচিয়ে তোলে। তার পরে বিমানবন্দরে সিআইএসএফ অফিসারের প্রশ্ন ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিকে — ‘‘হিন্দি বোঝেন না, আপনি ভারতীয় তো?’’
তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক জুড়ে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে হিন্দি-বিরোধিতা। অভিযোগ উঠেছে—হিন্দি ভাষা, হিন্দি সংস্কৃতি গোটা দেশের বুকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্র নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণার পরে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দল ডিএমকে-র নেতা এম কে স্ট্যালিন অভিযোগ করেন, কৌশলে হিন্দিকে চাপিয়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র। কেরল ক্ষমতাসীন বামেরাও অভিযোগ করেন, প্রস্তাবিত ত্রিভাষা সূত্রে হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষার বোঝা দেশের সব পড়ুয়ার উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। স্ট্যালিনের সুরে সুর মিলিয়ে তামিলনাড়ুর শাসক দল এডিএমকে-ও জানিয়ে দিল, নতুন শিক্ষানীতি তারা রাজ্যে চালু করবে না। কারণ, হিন্দি ভাষা ও সংস্কৃতিকে পড়ুয়াদের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিজেপি সরকার।
এর পরেই চেন্নাই বিমানবন্দরে কানিমোঝি কাণ্ড। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি ঝড় তুলেছে। বহু মানুষ জানাচ্ছেন, হিন্দি না-জানার জন্য হিন্দিভাষী নিরাপত্তা কর্মী ও কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারেরা হামেশাই তাঁদের হেনস্থা করেন। হিন্দিকে এক মাত্র রাষ্ট্রভাষা বলেও ভুল দাবি করেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমও এ দিন কানিমোঝির সমর্থনে জানান, এমন অভিজ্ঞতার মুখে তাঁকেও কম বার পড়তে হয়নি! কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী আবার টুইটে অভিযোগ করেছেন, হিন্দি রাজনীতির ধাক্কায় দক্ষিণের বহু নেতা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী মর্যাদা পাননি। নিজের বাবা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, কংগ্রেস নেতা কামরাজ, ডিএমকে নেতা করুণানিধির উদাহরণ দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy