লগ্নিকারীদের ভরসা ফেরেনি আশ্বাসেও, এক মাসেই অর্ধেকেরও বেশি সম্পদ হ্রাস আদানি গোষ্ঠীর! ফাইল চিত্র।
এক ধাক্কায় সম্পদের পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি কমে গেল শিল্পপতি গৌতম আদানির। সোমবার ব্লুমবার্গ সংস্থার তরফে প্রকাশিত ধনীদের যে তালিকা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গুজরাতি এই শিল্পপতির সম্পদের অর্থমূল্য পাঁচ হাজার কোটি ডলারের নীচে নেমে গিয়েছে।
ত্রিশ দিনের ব্যবধানে আদানির এই সম্পদহানির কারণ হিসাবে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে শেয়ারের দরে কারচুপি এবং আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। শিল্পগোষ্ঠীটির তরফে এই অভিযোগকে ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হলেও তার পর থেকে আদানিদের একের পর এক সংস্থার শেয়ারে ধস নামে। নিজেদের ‘সাম্রাজ্যের’ প্রায় অর্ধেক সম্পত্তি ইতিমধ্যেই খুইয়ে ফেলেছে আদানি গোষ্ঠী। তার পর থেকেই সংস্থাগুলির শেয়ারের দরে ‘রক্তক্ষরণ’ কমাতে একের পর এক পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছে আদানি গোষ্ঠী। বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের চেষ্টাও চলছে। প্রসঙ্গত এক বছর আগে এই সংস্থার রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১২০ কোটি ডলার।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর গত মাসের শেষ থেকে শেয়ার বাজারে আদানিদের নথিভুক্ত ৭টি সংস্থার মোট শেয়ার মূল্য অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় লগ্নিকারীদের আশ্বস্ত করতে আদানিরা দাবি করে, তাদের হিসাবের খাতা (ব্যালান্স শিট) যথেষ্ট পোক্ত। ব্যবসা বিস্তারের পরিকল্পনা অটুট। তার জন্য অর্থের সংস্থানও করা আছে। শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্ন দেওয়ার বিষয়েও তারা আত্মবিশ্বাসী। সংস্থা পরিচালনার বিষয়গুলি কর্তৃপক্ষ কঠোর ভাবে মেনে চলেন বলেও দাবি তাদের। কিন্তু এই আশ্বাস দেওয়ার পরেও যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা যায়নি, তার প্রমাণ মিলেছে আদানির এই ক্রমিক সম্পদহানিতেই। সম্পদ খোয়ানোর পর এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির তকমাও খুইয়েছেন আদানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy