Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Murder

পরীক্ষায় বেশি নম্বর, মেয়ের সহপাঠীকে খুন

সবার চেয়ে বেশি নম্বর পেত অষ্টম শ্রেণির বালামনিকন্দন। পরিবারের দাবি, তাই ‘হিংসা’ ছিল দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পড়ুয়ার মায়ের।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
পুদুচেরি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১৪
Share: Save:

সব সময় ক্লাসে প্রথম। সবার চেয়ে বেশি নম্বর পেত অষ্টম শ্রেণির বালামনিকন্দন। পরিবারের দাবি, তাই ‘হিংসা’ ছিল দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পড়ুয়ার মায়ের। আর তার জেরেই ওই কিশোরকে খুন করার অভিযোগ উঠল। পুদুচেরির কারাইকালের ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে সোমবার।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর তেরোর ওই পড়ুয়া পুদুচেরির নেহরু কলোনির বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, ক্লাসে দ্বিতীয় হওয়া ছাত্রীটির মা, বছর তেতাল্লিশের ভিক্টোরিয়া সাহায়ারানির হিংসা ছিল। চাইতেন, তাঁর মেয়েই প্রথম হোক।

শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের জন্য স্কুলের ভিতরেই অনুশীলন করছিল পড়ুয়ারা। তখনই বালামনিকন্দনের জন্য স্কুলের এক প্রহরীর হাত দিয়ে দু’বোতল ঠান্ডা পানীয় পাঠানো হয়। অভিযোগ, ভিক্টোরিয়াই নিজেকে বালামনিকন্দনের মা বলে পরিচয় দিয়ে ওই পানীয় পাঠিয়েছিলেন। খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোর। বাড়ি ফিরে বমি করতে থাকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে দিনটা ঠিক থাকলেও শনিবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। কারাইকালের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার রাতে সেখানে মৃত্যু হয় তার।

বালামনিকন্দনের মা-বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছে, ময়না তদন্তে শরীরে বিষ পাওয়া গিয়েছে। স্কুলের সিসিটিভির শুক্রবারের ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভিক্টোরিয়াই ওই পানীয় পাঠাচ্ছেন। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সব স্বীকার করে নেন বলে দাবি পুলিশের। তদন্তকারীরা জানান, পেট খারাপ করিয়ে ওই কিশোরের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আটকাতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত।

অন্য দিকে, হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মৃত কিশোরের পরিজন।

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Classmates
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy