তুরস্কে বিপর্যস্ত মানুষদের সাহায্য করা ভারতের মেডিক্যাল টিম কোরীয় যুদ্ধেও বাঁচায় বহু প্রাণ। ফাইল চিত্র।
ভূকম্পনে বিপর্যস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় উদ্ধারকাজে ভারতীয় সেনার তৎপরতা দেখে মুগ্ধ সকলে। তুরস্কে কম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শহরগুলিতে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে আহতদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছেন সেনার ‘৬০ প্যারাসুট ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স ইউনিটে’র সদস্যরা। তাঁদের এই কাজ ভারত-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ যেমন গলিয়েছে, তেমনই সমাজমাধ্যমে দেশ-বিদেশের অনেকেই তাঁদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন। কাশ্মীর প্রসঙ্গ-সহ বেশ কিছু বিষয়ে তুরস্ক এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা ভারত সরকার ভাল ভাবে দেখেনি। তবে এই পরিস্থিতিতে এ সবই এখন অতীত।
তবে সেনার এই বিভাগটি অতীতেও তাঁদের সেবামূলক কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। ১৯৫০ সালে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যে কোরীয় যুদ্ধ হয়েছিল, তাতে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। সে সময়ও ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত, ৩ বছর কোরিয়া উপদ্বীপে ঘাঁটি গেড়ে থেকে আহতদের সেবা করে গিয়েছিলেন সেনার সদস্যরা।
কোরীয় যুদ্ধের সময় সেনার এই বিভাগটির দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট এজি রঙ্গরাজ। প্রথম পিয়ংইয়ং পরে কোরিয়ার বিভিন্ন শহরে অস্থায়ী তাঁবু গড়ে বহু আহত মানুষের সেবা করেছিল এই বাহিনী। সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া ভারত কোরীয় যুদ্ধের সময় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে যুদ্ধবিধ্বস্ত কোরিয়াকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। পরে ভারতীয় সেনার কাজের প্রশংসা করেছিল আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া। বাহিনীর সদস্যরা দেশে ফিরে আসার পর দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ তাঁদের বিশেষ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। তুরস্কের ভূমিকম্পের পর ভারত ‘অপারেশন দোস্ত’ চালু করে। ৬টি বিমানে করে উদ্ধারকারী দল, খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy