বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। ছবি: পিটিআই।
বর্ষায় বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল মৌসম ভবন। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ভারী বর্ষণের কারণে হড়পা বানের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা। ধস নামারও আশঙ্কা করা হয়েছে।
চলতি বছরে বর্ষায় বিপর্যস্ত ওই দুই রাজ্য। বহু বার ধস নেমেছে। দুর্যোগে প্রাণহানিও ঘটেছে। সোমবার উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার চম্বা এলাকায় ধস নেমেছিল। দুই মহিলা, চার মাসের এক শিশু-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছেন আরও এক জন। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
দুর্যোগের কারণে মঙ্গলবার তেহরি জেলার ভিলাঙ্গানা, চম্বা, নরেন্দ্র নগর, জৌনপুরে সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই প্রবল বর্ষণের কারণে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। নতুন করে বৃষ্টির পূর্বাভাসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা। মঙ্গলবার দেহরাদূন, পৌড়ী, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত, বাগেশ্বরে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্য জেলাগুলিতেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
প্রকৃতির রোষে হিমাচলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু বলেছেন, ‘‘এ যেন পর্বতসমান চ্যালেঞ্জ। রাস্তা মেরামত করা, জল প্রকল্পগুলি আবার নতুন করে শুরু করা— প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব ঠিকঠাক করতে এক বছর সময় তো লাগবেই।’’ শিমলার আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সুরেন্দ্র পল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, এ বছর জুলাইয়ে হিমাচলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা গত ৫০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy