ফাইল চিত্র।
অদ্ভূত সমাপতন হলেও সত্যি।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় ৩০ সেপ্টেম্বর লখনউয়ের বিশেষ আদালত রায় ঘোষণা করবে। ওই দিনই মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের জন্মভূমির অধিকার চেয়ে মামলা আদালতে গৃহীত হবে কি না, মথুরার আদালতে তার শুনানি হবে।
রামমন্দির আন্দোলনের সময়ই গেরুয়া বাহিনী আওয়াজ তুলেছিল, ‘অযোধ্যা তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা আভি বাকি হ্যায়’। রামমন্দিরের শিলান্যাসের পরে সেই রব আরও জোরালো হয়েছে। বুধবারের শুনানির আগে রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম মুখ, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলায় অভিযুক্ত বিনয় কাটিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের লাগোয়া ইদগাহের জমি হিন্দুদের। তার দখল নিতে হবে। দরকার হলে আন্দোলনও হবে।
মথুরার আদালতে ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান’-এর নামে দায়ের হওয়া দেওয়ানি মামলার মূল দাবি, ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’-র ১৩.৩৭ একরের অধিকার এবং শাহি ইদগাহ মসজিদ সরানো। শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলা করেছেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী ও ছ’জন ভক্ত। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে দেশে কোনও মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র বদলানোর উপরে আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রেখে দিতে হবে। কোনও আদালত এই বিষয়ে আর্জি শুনতেও পারবে না। সেই কারণেই আদৌ শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের নামে মামলা গৃহীত হতে পারে কি না, তার ফয়সালা হবে।
মামলাকারীদের আইনজীবী বিষ্ণু জৈনের যুক্তি, ‘‘যদি জালিয়াতি করে কোনও জমির দখল নেওয়া হয়, তা হলে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনে মামলা হতেই পারে। ১৯৬৮-র ১২ অক্টোবর শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সঙ্ঘের সঙ্গে শাহি মসজিদ ইদগাহ পরিচালন কমিটির বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইদগাহকে জমি ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে জমির উপর সেবা সঙ্ঘের অধিকারই ছিল না। ব্রিটিশ জমানায় ওই জমি বারাণসীর রাজা পাটনি মল নিলামে কিনে নেন। পরে তা পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য ও অন্যান্যরা কিনে মন্দির তৈরির ট্রাস্ট গঠন করেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy