সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে উন্নাও ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে। —ফাইল চিত্র।
প্রবল সমালোচনার মুখেও উন্নাওয়ের ধর্ষণে অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারকে লিখিত ভাবে বহিষ্কার করেনি বিজেপি। এ বার সরাসরি কুলদীপের পাশেই দাঁড়ালেন উত্তরপ্রদেশের আর এক বিজেপি বিধায়ক আশিস সিংহ আশু। কাল উন্নাওয়ের কাছে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘ভাই কুলদীপের সময়টা সত্যিই খুব খারাপ যাচ্ছে। তবে আমাদের শুভেচ্ছা ওর সঙ্গে রয়েছে।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র যদিও আশুর এই মন্তব্যকে দলীয় মত বলে মানতে নারাজ। ‘ব্যক্তিগত মন্তব্য’ বলেই দায় এড়িয়েছেন তাঁরা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে উন্নাও ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে। সে জন্য মূল দুই অভিযুক্ত কুলদীপ ও শশী সিংহকে ওই দিন বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোজ শুনানি করে ৪৫ দিনের মধ্যে মামলা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০১৭-র ওই নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় ২০১৮-র এপ্রিল থেকে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলে রয়েছে চার বারের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ।
রবিবার রায়বরেলীতে নিগৃহীতা ও তাঁর পরিবারকে ট্রাক চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে কুলদীপের বিরুদ্ধে। সে দিন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিগৃহীতার কাকিমা ও তাঁর বোনের। যাঁদের মধ্যে এক জন ধর্ষণ মামলার মূল সাক্ষী ছিলেন। নিগৃহীতা এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভেন্টিলেশনে। আজ ডাক্তাররা জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। নিগৃহীতার পরিবার চাইছে, লখনউয়েই তাঁর চিকিৎসা হোক। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে দিল্লির এমসে ভর্তি করা হবে কি না, সোমবার সেই নির্দেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট। নিগৃহীতার আইনজীবীকে আজ ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে।
ট্রাক-কাণ্ডের পর থেকে নড়ে বসেছে প্রশাসনও। আজই কুলদীপের তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক দেবেন্দ্রকুমার পাণ্ডে। ট্রাক-কাণ্ডের তদন্ত সাত দিনে শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করার জন্য বৃহস্পতিবার সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ সিবিআইয়ের একটি দল সীতাপুর জেলা কারাগারে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা জেরা করে কুলদীপকে। তিন সদস্যের আর একটি দল আজ কুলদীপের গ্রামেও যায়। প্রথমে তাঁরা মাখী থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলার নথি খতিয়ে দেখেন। সেখানে ঘণ্টাখানেক তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের। চাওয়া হয়েছে মামলার কিছু নথিও।
এ দিকে, ট্রাক কাণ্ডের তদন্তেও আজ একটি নতুন দিক উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেও ওই ট্রাকের নম্বর প্লেটে কোনও কালির প্রলেপ ছিল না। ট্রাক-মালিক তদন্তকারীদের ঋণের কিস্তি ফাঁকির যুক্তি দিলেও, পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy