Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Judge vs Judge in Calcutta HC

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সেনের দ্বন্দ্ব: শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে

সোমবার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালতের শুনানির তালিকায় মামলাটি আসেনি। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার সম্ভাব্য শুনানির দিন স্থির হয়েছে।

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৮
Share: Save:

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের দ্বন্দ্ব এবং মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালতের শুনানির তালিকায় মামলাটি আসেনি। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার সম্ভাব্য শুনানির দিন স্থির হয়েছে।

দুই বিচারপতির দ্বন্দ্বে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করেছিল। তৈরি হয় পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। তাতে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের সমস্ত বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা-ও স্থগিত থাকবে বলে আলাদা করে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় যে নির্দেশ দেন, তার বিরুদ্ধে মামলার (এসএলপি) আবেদন জানায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট সেই অনুমতিও দিয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যকে নোটিস জারি করা হয়েছে শীর্ষ আদালত থেকে। নোটিস দিতে বলা হয়েছে সিবিআইকেও। সেই সঙ্গে মামলাকারীকেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি জানান, মামলাকারী চাইলে মামলার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মেডিক্যালে ভর্তি মামলায় আপাতত সিবিআই তদন্তও স্থগিত থাকছে।

মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর প্রথমে স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর খারিজ করে দেয়। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের প্রক্রিয়াগত ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তাঁর নির্দেশনামায় বিচারপতি সেন সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ তোলেন। এমনকি, বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও কার্যকর হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। অর্থাৎ, এই মামলায় সিবিআইকে তিনি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশনামায় উল্লেখ করেছিলেন, বড়দিনের ছুটির আগে বিচারপতি সেন তাঁর চেম্বারে বিচারপতি অমৃতা সিংহকে ডেকে পাঠান। সেখানে তিনি রাজনৈতিক নেতার মতো বিচারপতি সিংহকে নির্দেশ দেন। বিচারপতি সেন বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রয়েছে। তাঁকে বিরক্ত করা চলবে না।’’ এ ছাড়াও তিনি জানান, বিচারপতি সিংহের এজলাসের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বন্ধ করতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতির দু’টি মামলা খারিজ করতে হবে বলেও নাকি তিনি জানিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, বিচারপতি সেন ব্যক্তিগত স্বার্থে ওই সব নির্দেশ দিয়েছেন।

দুই বিচারপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেওয়ার পর দেখা যায়, বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত মামলা। রাতে হাই কোর্ট নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, আগামী সোমবার থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে অন্য ডিভিশন বেঞ্চে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ করে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy