(বাঁ দিকে) মৃত যুবক কার্তিকেয়। (ডান দিকে) বায়ুসেনার ‘এয়ার শো’। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রী এবং পুত্রকে দাঁড় করিয়ে রেখে কিছুটা দূরে পার্ক করে রাখা বাইক আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর ফেরা হল না চেন্নাইয়ের যুবক কার্তিকেয়র। স্বামীর মৃত্যু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠেছিলেন স্ত্রী শিবরঞ্জনী। গত ৬ অক্টোবর বায়ুসেনার ‘এয়ার শো’ দেখতে গিয়ে যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন তিরুভোত্রিয়ুরের বাসিন্দা কার্তিকেয়।
এক সংবাদমাধ্যমকে কার্তিকেয়র স্ত্রী শিবরঞ্জনী বলেন, ‘‘বাইক আনতে গিয়েছিল কার্তিকেয়। বার বার ওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ফোনে পাচ্ছিলাম না। ফোন করেই যাচ্ছিলাম। আচমকা দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ ফোন ধরেন। তিনি জানান, কার্তিক জ্ঞান হারিয়েছেন। তাড়াতাড়ি চলে আসুন।’’ শিবরঞ্জনী জানান, সেই ফোন পাওয়ামাত্রই ছুটে যান তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছতে ১০ মিনিট মতো সময় লাগে তাঁর। গিয়ে দেখেন মেঝের মধ্যে নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন কার্তিকেয়।
শিবরঞ্জনী বলেন, ‘‘ কার্তিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানি, দু’ঘণ্টার মধ্যে কী হয়ে গেল! কী ভাবে ওর মৃত্যু হল? এই মৃত্যুর জন্য কে-ই বা দায়ী?’’ স্বামীর মরদেহ পেতে রাজীব গান্ধী সরকারি হাসপাতালে দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে জানান শিবরঞ্জনী। শুধু তা-ই নয়, অভিযোগ, দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করার পর তাঁকে জানানো হয়, কার্তিকেয়র কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়! ওই সংবাদমাধ্যমকে শিবরঞ্জনী জানান, মৃত্যুর কারণ না জানা পর্যন্ত তিনি দেহ নিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁরই এক আত্মীয়কে দিয়ে সই করিয়ে কার্তিকের দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন।
গত ৬ অক্টোবর বায়ুসেনার ‘এয়ার শো’ দেখতে কয়েক লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন মেরিনা সৈকতে। সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই বাইরে বেরোনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাইক পার্ক করেছিলেন কার্তিকেয়। স্ত্রী এবং দু’বছরের পুত্রকে একটি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে বাইক আনতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আর ফেরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy