পাড়ায় অত্যন্ত ভাল ছেলে হিসাবে পরিচিত তিনি। সকলের সঙ্গে সদ্ভাব তাঁর। অত্যন্ত মিশুকেও। এমনই দাবি করছেন পড়শিরা। কিন্তু সেই ছেলেই যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসবে ভাবতে পারছেন না প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়েরা। আফান যে খুন করতে পারেন, সেটা বিশ্বাস হচ্ছে না বলেও অনেকে দাবি করেছেন। ভাই, ঠাকুমা, দুই আত্মীয় এবং প্রেমিকাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
আফানের বাড়ির কাছেই রয়েছে এক মহিলার চায়ের দোকান। মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমকে সেই মহিলা বলেন, ‘‘ভাইকে খুব ভালবাসত আফান। ওকে আগলে রাখত। কিন্তু কী ভাবে এ কাজ করল বিশ্বাস করতে পারছি না।’’ পুলিশকেও একই কথা জানিয়েছেন বলে দাবি ওই মহিলার। তাঁর কথায়, ‘‘এখনও বিশ্বাস করি না, এই কাজ আফান করেছে। খুব ভাল ছেলে ও। ওর সম্পর্কে কেউ কোনও বাজে কথা বলতে পারবে না। আফান যে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে পুলিশ না এলে জানতেও পারতাম না।’’
আরও পড়ুন:
এক আত্মীয়ের কণ্ঠেও একই সুর ধরা পড়েছে। তাঁর সকলেই স্তম্ভিত কী ভাবে এ কাজ করতে পারলেন আফান। তাঁদেরও বিশ্বাস হচ্ছে না যে, আফানই খুন করেছেন! তবে আফান নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জানিয়েছেন যে, ছ’জনকে খুন করে এসেছেন তিনি। এক যুবকের মুখে এ কথা শুনেই কর্তব্যরত পুলিশকর্মী থেকে আধিকারিক সকলেই চমকে উঠেছিলেন। তিনটি আলাদা আলাদা বাড়িতে খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, সকলকেই হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।