হরিয়ানা সরকার হুঁকো নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। এ বার থেকে ওই রাজ্যের পানশালা, হোটেল কিংবা রেস্তরাঁগুলিতে আর হুঁকো বিক্রি করা যাবে না। তবে গ্রামগঞ্জে প্রচলিত প্রাচীন পদ্ধতির হুঁকোর নেশায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তা যেমন চলছিল, তেমনই চলবে।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সোমবার রাজ্যের সমস্ত পানশালা, হোটেল, রেস্তরাঁয় হুঁকো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। করনালে একটি নেশাবিরোধী প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সোমবারই ছিল তার শেষ দিন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী খট্টরও উপস্থিত ছিলেন। ওই মঞ্চ থেকে রাজ্যে হুঁকো নিষিদ্ধ করার কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
কয়েক মাস আগে হরিয়ানার বিধানসভার স্পিকার জ্ঞানচাঁদ গুপ্তা সরকারের কাছে হুঁকোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানিয়েছিলেন। গত মে-তে খট্টরকে এ বিষয়ে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। রেস্তরাঁ, হোটেল, নাইটক্লাবে হুঁকো খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত হুঁকো সেবনে অনেক ধরনের সমস্যা বাড়ছে। স্পিকারের চিঠি পাওয়ার পরেই হরিয়ানা সরকার এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল। অবশেষে হুঁকোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে কর্নাটক সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাজ্যে তারা কোনও হুক্কা বার চালাতে দেবে না। রাজ্যের মন্ত্রী এ-ও জানিয়েছিলেন, ২১ বছরের নীচে কেউ কর্নাটকে সিগারেট কিনতে পারবেন না। এত দিন ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছিল। সেই নিয়মেও কিছুটা বদল আনতে চলেছে কর্নাটক সরকার।