Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

যে মুখ্যমন্ত্রী করবে, তাকেই সমর্থন, হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কুর ইঙ্গিত মিলতেই ঘোষণা দুষ্যন্ত চৌটালার

গণনার শেষ পর্যন্ত এই প্রবণতার ফল মোটামুটি চূড়ান্ত হলেও সরকার গঠনের চাবিকাঠি কার্যত থাকবে চৌটালার হাতেই।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ১২:০১
Share: Save:

হরিয়ানা বিধানসভা কি ত্রিশঙ্কু হচ্ছে? ভোটগণনার প্রবণতায় এমন ইঙ্গিত মিলতেই কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দাবি করে বসলেন জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) সুপ্রিমো দুষ্যন্ত চৌটালা। চৌটালা বলেছেন, ‘‘যে দল আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেবে, তাদেরই সমর্থন করব।’’ অন্য দিকে কংগ্রেস সূত্রে খবর, চৌটালার সঙ্গে ইতিমধ্যেই দলের নেতারা যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন।

প্রায় সব কটি ভোট পরবর্তী সমীক্ষায় ইঙ্গিত ছিল, হরিয়ানায় ফের ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। যদিও একটি সমীক্ষার ফলাফলে ইঙ্গিত ছিল, ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ত্রিশঙ্কু ফল হওয়ার সম্ভাবনা এবং সরকার গঠনে বড় ভূমিকা থাকবে চৌটালা তথা তাঁর দল জেজেপি-র। গণনার প্রবণতায় ইঙ্গিত এই সমীক্ষার দিকেই। অর্থাৎ বিজেপি ৪০ এর আশেপাশে। কংগ্রেস ৩০ এর দু’-একটি কম বা বেশি। আর চৌটালার আসন সংখ্যা কম-বেশি ১০।

গণনার শেষ পর্যন্ত এই প্রবণতার ফল মোটামুটি চূড়ান্ত হলেও সরকার গঠনের চাবিকাঠি কার্যত থাকবে চৌটালার হাতেই। সেটা বুঝেই চৌটালা আগেভাগেই বলে রাখলেন, তাঁর সমর্থন সেই দলের দিকেই থাকবে, যারা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দেবেন। তবে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছাকাছি পৌঁছে গেলে নির্দল বা ছোট দলের সাহায্যেও সরকার গঠন করার জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। যদিও চূড়ান্ত ফলের আগে বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া হাওয়া, হরিয়ানায় জোর টক্কর কংগ্রেসের

বুধবার রাতেই ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার ছেলে দীপেন্দ্র হুডার সঙ্গে একটি বৈঠক হয় চৌটালার। ওই বৈঠকের পরেই দীপেন্দ্র টুইট করেন, ‘‘মনোহরলাল খট্টরের দম্ভ চূর্ণ হবে।’’ দুই তরুণ নেতার সম্পর্কও ভাল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ভোটে ত্রিশঙ্কু ফলের ইঙ্গিত মিলতেই ফের চৌটালার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দীপেন্দ্র ছাড়াও শীর্ষ নেতারাও তাঁকে জোটবার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন।

২০১৪ সালে কংগ্রেসকে সরিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হরিয়ানায় ক্ষমতায় আসে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন মনোহরলাল খট্টর। কয়েক মাস আগের লোকসভা ভোটেও সবকটি আসনে জয় পায় বিজেপি। কিন্তু হরিয়ানায় সরকার গঠনের কিছু দিন পর থেকেই খট্টর বিরোধী জনমত দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। কিন্তু জাতীয়তাবাদের হাওয়ায় লোকসভা ভোটে তার ছাপ না পড়লেও বিধানসভায় তার প্রভাব ফেলতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। চূড়ান্ত ফলে গণনার এই প্রবণতা বজায় থাকলে সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট হবে।

আরও পডু়ন: ব্যবসা করা অনেক সহজ হয়েছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে ১৪ ধাপ উঠল ভারত

উল্টো দিকে ভোটের সময়ও কংগ্রেস শিবির কার্যত ছিল ছন্নছাড়া। রাহুল গাঁধী সভাপতি পদ ছাড়ার পর থেকেই কার্যত দলে নেতৃত্বের সঙ্কট। তার উপর হরিয়ানার অভ্যন্তরেও একাধিক গোষ্ঠীকোন্দল ছিল। কিন্তু সে সব সামলেও যে ভাবে কংগ্রেসের আসন বাড়ার ইঙ্গিত মিলছে, তা কংগ্রেসের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র হয়ে উঠতে পারে বলে মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE