ফুল আর শাল নিয়ে মসজিদে আসবেন না। পুণ্যার্থীদের নগদ টাকা দান করার আবেদন করলেন মুম্বইয়ের হাজি আলি দরগা কর্তৃপক্ষ।
পুণ্যার্থীদের কাছে কেন এমন আবেদন? সোহেল খান্ডওয়ানি নামে দরগার এক মুখপাত্র জানান, বেশ কিছু দিন ধরে দেখা যাচ্ছে, পুণ্যার্থীদের একটি বড় অংশ বাসি ফুল নিয়ে আসছেন। তবে তাঁর সংযুক্তি, এতে পুণ্যার্থীদের ‘দোষ’ নেই। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এর সঙ্গে জড়িত। এঁরা বাসি ফুল এবং কম দামি শাল চড়া দামে বিক্রি করেন। পুণ্যার্থীরা তা না বুঝে সে সব নিয়েই হাজির হচ্ছেন দরগায়। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের কারবার শেষ করতে চান তাঁরা। তাই ফুল, শালের পরিবর্তে নগদ টাকা দান করতে আবেদন করা হচ্ছে।
দরগার ওই মুখপাত্রের কথায়, ‘‘মানুষের টাকা নষ্ট হোক সেটা আমরা চাই না। তাই সবাই নগদ অর্থ দান করুন। ওই টাকা দরগার উন্নতিকল্পে খরচ করা যাবে।’’
বাসি ফুল এবং শাল বিক্রির অভিযোগ এসেছে এক পুণ্যার্থীর কাছ থেকে। তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন, দরগার সামনে এক দোকানদার তাঁকে ফুল এবং শাল বিক্রি করে চার হাজার টাকা দিতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু ফুলও বাসি এবং শালটিও সস্তার। অভিযোগের তদন্তে নামেন কর্তৃপক্ষ। তার পরই সব পুণ্যার্থীর কাছে নগদ অর্থ দানের আবেদন রাখলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, হাজি আলি দরগার সংস্কারের কাজ চলছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এর জন্য বিপুল খরচ হচ্ছে।