গুজরাতে বিজেপি কর্মীদের উৎসব। ছবি: পিটিআই।
নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে গত মাসেই ৬টি মহানগরের (কর্পোরেশন) ভোটে একতরফা জয় পেয়েছিল বিজেপি। এ বার গুজরাতের ছোট পুরসভা এবং দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পদ্ম শিবির জয়ের সেই ধারা বজায় রাখল। তবে মঙ্গলবার গণনার ধারায় স্পষ্ট, গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন আসনে বিজেপি-কে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলেছে কংগ্রেস।
পুর ও পঞ্চায়েত ভোটে প্রথম বার প্রার্থী দিয়ে কয়েকটি আসনে জিতেছে অরবিন্দ কেজরীবালের ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)। অন্য দিকে, হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) কিছু আসনে সংখ্যালঘু ভোট কেটে কংগ্রেসকে হারালেও সামগ্রিক ভাবে তেমন দাগ কাটতে পারেনি বলে ভোটগণনার প্রবণতা থেকে জানা গিয়েছে।
রবিবার গুজরাতের ৮১টি পুরসভা এবং ৩১টি জেলা পঞ্চায়েত (জেলা পরিষদ) এবং ২৩১টি ‘তালুক পঞ্চায়েত’ (ব্লক পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি) ভোট হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। দুপুর পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল এবং প্রবণতা বলছে, ৬৭টি পুরসভায় ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। কংগ্রেস ৭ এবং নির্দল প্রার্থীরা ১টি পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।
৩১টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে অন্তত ১২টিতে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর জেলা রাজকোটও। ২৩১টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৮৫টিতে বিজেপি এবং ৩৪টিতে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে গণনার প্রবণতা থেকে ইঙ্গিত মিলেছে।
গুজরাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে পুরসভা, জেলা পরিষদ এবং ব্লক পঞ্চায়েতের মোট ৮,৪৭৪টি আসনে ভোট হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজেপি ২০৮৫ এবং কংগ্রেস ৬০২টি আসনে জিতেছে। ‘আপ’ ১৫, বিএসপি ৫ এবং নির্দল প্রার্থীরা ৪২টি আসনে। পুরসভায় বিজেপি ১৩৯৫, কংগ্রেস ৩৬৫, জেলা পঞ্চায়েতে বিজেপি ৩১৫, কংগ্রেস ৭৫ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি ১,৬২০, কংগ্রেস ৩৮৮টি আসনে জিতেছে।
গত মাসে গুজরাতের আমদাবাদ, সুরত, বডোদরা, রাজকোট, ভাবনগর এবং জামনগর কর্পোরেশন নির্বাচনে কার্যত একতরফা জয় পেয়েছিল বিজেপি। প্রায় ৮০ শতাংশ আসন দখল করে ৬টি মহানগরেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। গুজরাতের শহরাঞ্চল গত আড়াই দশক ধরেই বিজেপি-র ঘাঁটি বলে পরিচিতি। কিন্তু ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে গ্রামীণ গুজরাতে খারাপ ফল করেছিল বিজেপি। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত স্তরে এই জয় পদ্ম-শিবিরকে স্বস্তিতে রাখবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy