Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Rahul Gandhi

‘মোদী’ অবমাননা মামলায় রাহুলের আবেদন শুনল গুজরাত হাই কোর্ট, মঙ্গলে আবার শুনানি

গত মঙ্গলবার রাহুলের আইনজীবী বিএম মঙ্গুকিয়া সুরাত দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। তারই ভিত্তিতে এই শুনানি।

Gujarat High Court to continue hearing Rahul Gandhi’s plea to stay conviction in ‘Modi surname’ case on 2 May 2023

গুজরাতে হাই কোর্টে রাহুলের আবেদনের শুনানি আবার হবে মঙ্গলবার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
গান্ধীনগর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫১
Share: Save:

মোদী পদবি অবমাননার মামলায় সুরাতের দায়রা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল গান্ধীর আবেদনের শুনানি শেষ হল না গুজরাত হাই কোর্টে। শনিবার দীর্ঘ শুনানির পরে বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ২ মে (মঙ্গলবার) আবার এই মামলার শুনানি হবে।

গত ২০ এপ্রিল সুরাতের দায়রা আদালত রাহুলকে ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া রায় বহাল রেখেছিল। গুজরাত হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ না দিলে জেলযাত্রার সম্ভাবনার পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রশ্নেও আপাতত ইতি পড়তে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের তরফে তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শনিবার শুনানিতে অংশ নিয়ে সুরাতের দুই আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘বিচার প্রক্রিয়ার গুরুতর ফাঁক থাকার কারণে রাহুল গান্ধী ‘অপরাধমূলক মানহানির মামলা’য় ২ বছরের জেলের সাজা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, রাহুল কোনও গুরুতর অপরাধ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক মানহানির’ যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তাতে কোথাও নৈতিক স্খলনের অভিযোগও নেই। এই পরিস্থিতিতে ২ বছর সাজা দেওয়ার যৌক্তিকতা কী, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সিঙ্ঘভি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। তবে ‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দিয়েছিলেন বিচারক। সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।

এর পর রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা করার বিরুদ্ধে এবং তাঁকে দেওয়া সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা সেই আবেদন খারিজ করে সাজা কার্যকরের রায় বহাল রাখেন। ফলে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি, রাহুলের জেলযাত্রার সম্ভাবনাও তৈরি হয়।

এই পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার রাহুলের আইনজীবী বিএম মঙ্গুকিয়া সুরাত দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারপতি গীতা গোপীর বেঞ্চে সেই আবেদন শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু বুধবার মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি গোপী। রাহুলের আইনজীবী পিএস চম্পানেরী আবেদনের দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতেই বিচারপতি গোপী বলেন, ‘‘আমার কাছে নয়।’’ মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন তিনি। এর পর মামলাটি গিয়েছে বিচারপতি প্রচ্ছকের বেঞ্চে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rahul Gandhi Gujarat High Court defamation case Surat court Surat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy