—ফাইল চিত্র।
গুজরাতের পাতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলকে রাজ্য দলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দিল কংগ্রেস। দলীয় বিবৃতিতে একে সনিয়া গাঁধীর সিদ্ধান্ত বলা হলেও এর পিছনে রাহুল গাঁধীর মস্তিষ্ক রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মাত্র ২৬ বছর বয়সী হার্দিক লোকসভা নির্বাচনের আগে গাঁধীনগরে এক জনসভায় রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে যোগ দেন।
কংগ্রেস সূত্র বলছে, জাতপাতের সিদ্ধান্ত মেনেই এই সিদ্ধান্ত। অতীতে গুজরাতে ক্ষত্রিয়-হরিজন-মুসলমান-আদিবাসী ভোটের উপরেই ভরসা রাখত কংগ্রেস। অন্য দিকে, প্রভাবশালী পটেল বা পাতিদারদের ভোট এককাট্টা করে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে বিজেপি। সেই আধিপত্যে ভাগ বসানোই কংগ্রেসের লক্ষ্য। এখন বিধানসভায় কংগ্রেসের দলনেতা পরেশ দানানি ও কার্যকরী সভাপতি হার্দিক দু’জনেই পাতিদার সম্প্রদায়ের।
কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাহুল লোকসভা ভোটের আগে ওবিসি ক্ষত্রিয় সমাজের তরুণ নেতা অমিত চাভড়াকে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু অমিতের আমলে বহু বিধায়ক দল ছেড়েছেন। এ বার তাঁর ডানা ছেঁটে হার্দিককে নিয়ে আসা হল।
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে হার্দিক পটেল, জিগনেশ মেবাণী ও অল্পেশ ঠাকুরকে বিজেপির বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে কংগ্রেস শিবিরে টেনে আনা হয়েছিল। তখন হার্দিক বলেছিলেন, ‘‘লোকে প্রশ্ন করে আমি কেন কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধীকে বেছে নিলাম? কারণ রাহুল সৎ এবং স্বৈরতান্ত্রিক নন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy