Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Gujarat Bridge Collapse

সেতু ভেঙে এত মানুষের মৃত্যু কেন গুজরাতে? কারণ প্রকাশ্যে আনলেন এনডিআরএফ প্রধান

রবিবার গুজরাতের মোরবী শহরে পায়ে চলা ঝুলন্ত সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জনের। স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তো রয়েছেই। তার পাশাপাশিই উঠে আসছে আরও বেশ কি কারণ।

মাচ্ছু নদীতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

মাচ্ছু নদীতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪০
Share: Save:

মোরবীর ঝুলন্ত সেতুর দু’পাশের জল ছিল অগভীর। আর সেই জলের নীচে ছিল শক্ত পাথুরে জমি। ব্রিজ থেকে জলে পড়ে সজোরে সেই পাথুরে জমিতেই আছড়ে পড়েছিলেন ব্রিজের উপরে ছট পুজোর জন্য হাজির হওয়া পুন্যার্থীরা। ফলে সাঁতরে বাঁচার কোনও সুযোগই পাননি তাঁরা। বুধবার গুজরাতের মোরবী সেতু দুর্ঘটনায় বাড়তে থাকা মৃত্যু সংখ্য়ার কারণ জানাতে গিয়ে এমনই ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান।

রবিবার, ছট পুজোর দিন গুজরাতের মোরবী শহরে মাচ্ছুনদীর উপর একটি পায়ে চলা ঝুলন্ত ব্রিজে জড়ো হয়েছিলেন পুজো দিতে আসা পুন্যার্থীরা। ব্রিটিশ আমলের তৈরি সেতুটি অতিরিক্ত ভার রাখতে না পেরে ভেঙে পড়ে। ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৪১ জনের। সেতু ভেঙে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করে এনডিআরএফ প্রধান ভিভিএন প্রসন্ন কুমার এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্রিজের দু’দিকের জল ছিল মাত্র ১০ ফুট গভীর। আর তার নীচে ছিল শক্ত পাথুরে জমি। উপর থেকে অত্যন্ত বেগে নীচে পড়ার পর ওই পাথুরে জমিতে আঘাত পান পুন্যার্থীরা। তাতেই বেড়েছে মৃত্যু।

প্রসন্ন বলেছেন, মাচ্ছু নদীর মাঝের অংশটিরও গভীরতা বড়জোর দশফুট। জলে স্রোত নেই। ফলে ব্রিজের মাঝ খানে যাঁরা পড়েছিলেন, তাঁদেরও স্রোত বয়ে নিয়ে যায়নি।

প্রসন্ন জানান, নদীর ওই অংশটি অগভীর হওয়ায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সহজেই নদীতলে পৌঁছতে পেরেছিল। তবে ঘোলাজল হওয়ায় দৃশ্যমানতার সমস্যা ছিল। এনডিআরএফ প্রধান এ-ও বলেন যে, অধিকাংশ পুন্যার্থীরই দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই দৃশ্যমানতার সমস্যার জন্য বড়জোর ২-৩ জন এখনও নিখোঁজ থাকতে পারেন। তাঁদের খোঁজ চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Gujarat Bridge Collapse Morbi NDRF
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy