মঙ্গলবার সকালে আবার শুরু করা হবে উদ্ধারকার্য। ফাইল চিত্র ।
গুজরাতের মাচ্ছু নদীর উপর সেতু বিপর্যয়ে এখনও নিখোঁজ প্রায় ১০০ জন! তার মধ্যেই উদ্ধারকার্য বন্ধ করতে বাধ্য হল প্রশাসন। দিনের আলো ফুরিয়ে রাত নেমে আসার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধারকার্য আবার শুরু করা হবে বলেও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
মাচ্ছু নদীর জলের তলায় কাদার মধ্যে এখনও বহু মানুষের দেহ আটকে রয়েছে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা। সূত্রের খবর, প্রশাসনের অনুমান সেই সংখ্যা প্রায় ১০০-র কাছাকাছি। কিন্তু নদীর ঘোলা জলে রাতের অন্ধকারে সেই দেহগুলি উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলেই আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে উদ্ধারের কাজ।
রবিবার সন্ধ্যার বিপর্যয়ের পর থেকেই উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধারের কাজ চালিয়েও নিখোঁজ হওয়া বহু মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নদীর জল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১৭৭ জনকে।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর থেকেই প্রশাসনের দিকে উঠছে অভিযোগের আঙুল। অভিযোগ উঠেছে, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও রকম সবুজ সঙ্কেত নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি। অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।
ব্রিটিশ আমলের ওই সেতুর বেহাল দশা হওয়ায় সাত মাস আগে সেতুটির সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামক সংস্থাকে। তার পর থেকে জনসাধারণের জন্য এই সেতু বন্ধই ছিল। গত সপ্তাহে আবার এই সেতু চালু করা হয়। ওই সংস্থা দাবি করে তাঁরা সেতু সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ করেছে। অভিযোগ, সময়ের আগেই ওই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করে দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই এই বিপর্যয়। ইতিমধ্যেই কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ওই সংস্থার ৯ কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy