জমি বিল প্রশ্নের মুখে। বিরোধীরা একজোট। শ্রম আইনের সংস্কার নিয়ে বেঁকে বসেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। এই অন্ধকারে এক মাত্র পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) বিল নিয়েই আশার আলো দেখছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। অর্থ মন্ত্রকের আশা, সংসদের বাদল অধিবেশনে জিএসটি বিল পাশ করিয়ে নেওয়া যাবে। সে জন্য জিএসটি চালুর পরে পাঁচ বছর ধরে রাজ্যগুলির রাজস্বে ক্ষতির পুরোটা মিটিয়ে দিতেও রাজি অরুণ জেটলির মন্ত্রক।
রাজ্যসভার সিলেক্ট কমিটিতে এত দিন জিএসটি বিল নিয়ে আলোচনা চলছিল। কমিটির রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহেই রিপোর্ট জমা পড়বে। সূত্রের খবর, কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে জিএসটি চালুর পরে রাজ্যগুলির রাজস্বের ক্ষতি হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত তা মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিক কেন্দ্রীয় সরকার। জিএসটি বিলে মোদী সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, তিন বছর পর্যন্ত ১০০ শতাংশ ক্ষতির দায় নেবে কেন্দ্র। কিন্তু চতুর্থ বছরে ৭৫ শতাংশ ও পঞ্চম বছরে ৫০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, জিএসটি-তে ঐকমত্য তৈরি করতে কেন্দ্র এখন পাঁচ বছরেরই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে। এই বিষয়ে সরকার নিজেই জিএসটি বিলে সংশোধনী আনবে।
তৃণমূল কংগ্রেস নীতিগত ভাবে জিএসটি বিলকে আগেই সমর্থন করেছিল। জমি বিলে যেমন বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত একজোট, জিএসটি বিলে তা হয়নি। তৃণমূল, বাম, ডিএমকে, এডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি— প্রায় সব দলই নীতিগত ভাবে জিএসটি-র পক্ষে। কংগ্রেস অবশ্য অরুণ জেটলির জিএসটি বিলকে সমর্থন জানাতে রাজি নয়। তাদের যুক্তি, জিএসটি-র আদর্শ রূপ থেকে সরকার অনেকটাই সরে এসেছে। যে সব রাজ্যে কারখানা বেশি এবং তার ফলে জিএসটি চালু হলে রাজস্বে ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি, সেই রাজ্যগুলিকে বাড়তি এক শতাংশ হারে কর বসাতে দিতেও রাজি হয়েছেন জেটলি। কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের দাবি, জিএসটি-র হার ১৮ শতাংশর বেশি হতে পারবে না।
কংগ্রেসের দাবি ছিল, জিএসটি পরিষদে কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব এক-তৃতীয়াংশ থেকে কমিয়ে এক-চতুর্থাংশ করতে হবে। সিলেক্ট কমিটিতে ভোটাভুটিতে অবশ্য কংগ্রেসের কোনও দাবিই সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পায়নি। কংগ্রেসের নেতাদের দাবি, সিলেক্ট কমিটিতে কংগ্রেস সংখ্যালঘু হলেও রাজ্যসভায় মোদী সরকার সংখ্যালঘু। সেখানে কংগ্রেস একাই বিরোধিতা চালিয়ে গেলে জিএসটি-র মতো সংবিধান সংশোধনী বিল সরকারের পক্ষে পাশ করানো সম্ভব হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য আশা করছে, পাঁচ বছর পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের দাবি মিটিয়ে দিয়ে কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy