পাত্রপক্ষের বাক্বিতণ্ডার মধ্যেই মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন পাত্রী। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের ঠিক আগে পাত্রকে ‘পণ-বন্দি’ করলেন পাত্রী। তবে এ ক্ষেত্রে বন্দির মুক্তির জন্য অর্থমূল্য বা পণ চাওয়া হয়নি। বরং পণ চাওয়ার জন্যই পণের দাবিদারদের বন্দি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের এক বিয়ে বাড়িতে হুলস্থূল পড়ে যায় এ নিয়ে। বিয়ের পিঁড়িতে বসার ঠিক আগেই পণের দাবি করেছিলেন পাত্র। শুনে পাত্রীপক্ষ বেজায় চটে গিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, বিয়ে হবে না। তবে শুধু সে টুকুতেই ছাড় পাবেন না পাত্র বা তাঁর আত্মীয়রা। তাঁদেরকে শাস্তিও পেতে হবে।
উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের ঘটনা। বিয়ের মণ্ডপে প্রবেশের ঠিক আগেই পাত্রীর বাবার কাছে একটি ট্র্যাক্টর এবং একটি বাইকের দাবি করেন পাত্র। এ নিয়ে পাত্রীপক্ষ এবং পাত্রপক্ষের বাগ্-বিতণ্ডার মধ্যেই মণ্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে এসে পাত্রী জানিয়ে দেন, তিনি পণ-চাওয়া পাত্রকে বিয়ে করবেন না।
তবে বিয়েবাড়ির নাটক সেখানেই থেমে যায়নি। এর পর বিয়ে করতে আসা ওই যুবককে সপরিবারে বন্দি করে ফেলে পাত্রীপক্ষ। তার পর গ্রামবাসীদের বলে, এই ঘটনার বিচার করতে। তাঁরা যে শাস্তি বিধান করবেন, সেই শাস্তিই দেওয়া হবে পাত্র এবং তাঁর পরিবারকে। এমনকি, বিয়ের জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা-ও পাত্রপক্ষকে ফেরত দেওয়ার কথা ভেবে দেখতে বলে কনের পরিবার।
পুলিশকে পাত্রীপক্ষ জানিয়েছে, দু’বছর আগেই ঠিক হয়েছিল বিয়ে। পাত্রীপক্ষের দাবি, পণের কথা একটি বারও বলেননি পাত্র। পণ দিতে হবে জানলে আগেই বিয়ে বাতিল করতেন বলে জানিয়েছে কনের পরিবার। অন্য দিকে, পাত্র স্বীকার করেছেন, তিনি পণ চেয়েছিলেন। তবে বিয়েও করতে চান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy